৯০ জনের বয়ান রেকর্ডের পরও সিবিআইয়ের তদন্তের অভিমুখ সন্দীপ ঘোষে আটকে

সিবিআই এই তথ্য পুলিস ও হাসপাতাল কর্মীদের জেরা করে জেনেছে বলে দাবি। কার নির্দেশে এই ঘটনাক্রম? সেই উত্তর গোয়েন্দারা না দিলেও সন্দীপ ঘোষই যে পাখির চোখ, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।

August 26, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সিবিআইয়ের তদন্তের অভিমুখ এখন যত দোষ সন্দীপ ঘোষে আটকে। পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃত্যুর আগে কী হয়েছিল? কিংবা মৃত্যুর পর কীভাবে প্রভাব খাটানো হল, সেটাই খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে তারা দাবি করেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তরুণীর পরিবার দেহ সংরক্ষণ করে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের অনুরোধও করেছিল। কিন্তু এক শীর্ষ কর্তা তাতে বাধা দেন। কে সেই কর্তা? সন্দীপ? তা অবশ্য জানাননি গোয়েন্দারা। তবে তাঁরা বলছেন, মৃতদেহের ছবি সেই ব্যক্তিকে ছবি তুলে পাঠানো হয়েছিল। তারপরই সকালের শিফ্টের চিকিৎসকদের হাসপাতালে দেরিতে আসতে বলা হয়। সিবিআই এই তথ্য পুলিস ও হাসপাতাল কর্মীদের জেরা করে জেনেছে বলে দাবি। কার নির্দেশে এই ঘটনাক্রম? সেই উত্তর গোয়েন্দারা না দিলেও সন্দীপ ঘোষই যে পাখির চোখ, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।

এজেন্সি সূত্রের খবর, ঘটনার দিন সন্দীপ তাঁর গুরু বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গের এক ডাক্তারের সঙ্গে যোগ রাখছিলেন। তাঁর সঙ্গে একাধিক ফোনালাপ ও মেসেজ চালাচালির প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।

সিবিআইয়ের বিশ্বাস, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা একটা হয়েছিল। তার নেপথ্যে রয়েছেন ‘শীর্ষ কর্তা’ই। অন্য ডাক্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন ইঙ্গিতই মিলছে তাদের। এই সমীকরণে ইতিবাচক সাহায্য সম্ভব ছিল সঞ্জয় রায়ের বয়ান। সেখানেও খুব একটা সুরাহা হচ্ছে না। রবিবার সিবিআইয়ের টিম সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে যায়। সঙ্গে ছিল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তাররা। আরও কয়েকজনকে লাই ডিটেক্টর পরীক্ষায় বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে এজেন্সির।

অর্থাৎ ১৩ দিনে ৯০ জনের বয়ান রেকর্ড। তদন্তভার কাঁধে নেওয়ার পর এটাই সিবিআইয়ের স্টেটাস। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ন্যায়বিচার চেয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, তখনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি থমকে বয়ান রেকর্ড এবং পলিগ্রাফ পরীক্ষায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen