নিয়মিত ভোট দিয়েও উধাও নাম! ২০০২-র তালিকায় বাদ হুগলির করিন্যা গ্রামের ১৫০০ ভোটার

November 13, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪০:  SIR প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের হুগলিতে চাঞ্চল্য। বলাগড়ের বাকুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করিন্যা গ্রামের প্রায় দেড় হাজার ভোটারের নাম নেই শেষ তালিকায়। কেউই খুঁজে পাচ্ছেন না নিজেদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়, যেটির ভিত্তিতেই এবার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) করা হচ্ছে। ফলে অনিশ্চয়তায় পুরো গ্রাম, অনেকেই ভবিষ্যতে ভোটাধিকার থেকেই বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

নির্বাচন কমিশনের (Election commission of India) নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০২ সালের তালিকার ভিত্তিতেই ভোটারদের (Voter) নাম যাচাই হচ্ছে। বলা হয়েছে, ওই তালিকায় নিজের নাম থাকলে সহজেই এসআইআরে (SIR) নাম নথিভুক্ত হবে। এমনকি যাদের মা বা বাবার নাম ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে, তারাও সুবিধা পাবেন। কিন্তু করিন্যা গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশেরই ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ২০০২ সালের তালিকায় বাবা-মায়ের নামও নেই। অথচ তাঁদের সবারই আধার (Aadhar Card), রেশন কার্ড (Ration Card), জমির কাগজ ও ভোটার আইডি (Voter Id) রয়েছে।

গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমরা এখানে থাকি, নিয়মিত ভোট দিই। অথচ হঠাৎ নাম উধাও! এটা কীভাবে সম্ভব?’’ অনেকে ফর্ম পূরণের সময় বুঝতে পারছেন, তাঁদের বুথ নম্বরও বদলে গিয়েছে। ২০০২ সালে যেটি ছিল ৫৯ নম্বর বুথ, এখন সেটি ৬৯ ও ৭০ নম্বর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ফলে অনলাইন ফর্ম (Online Form) পূরণ করতেও সমস্যা হচ্ছে।

বাকুলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান গণেশ মান্ডি (Ganesh Mandi) বলেন, “২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে নতুন বুথ ম্যাপিং না হওয়ায় বহু মানুষ ফর্ম জমা দিতে পারছেন না। বিশেষ করে যাঁরা ভিন রাজ্যে থাকেন, তাঁরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায়।”

এই নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ। অনেকেই চোখে জল নিয়ে বলেছেন, “আমরা যদি তালিকায় না থাকি, ভোট দেব কীভাবে? আমাদের নাগরিকত্বই কি প্রশ্নের মুখে?”

স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি ইতিমধ্যেই জেলা নির্বাচন দপ্তরে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, কীভাবে এত মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) অভিযোগ তুলেছিল, এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরুর আগেই কমিশন গোপনে কারচুপি করছে। ২০০২ সালের হার্ড কপির সঙ্গে কমিশনের প্রকাশিত নতুন ডিজিটাল ভোটার তালিকার মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এক-দুই বুথের সমস্যা নয়, একাধিক জায়গায় একই ছবি। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার বাদ দেওয়ার চেষ্টা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen