আবার যদি ফিরে আসে দূরদর্শনের সোনালি স্মৃতি
ঘরে বসে বসে সারাটা দিন বোর হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন যদি এই সুযোগে ফিরে পেতেন ছেলেবেলা। ভাবুন যদি দূরদর্শন পূনসম্প্রচার করে ছোটবেলার সেই হারিয়ে যাওয়া ধারাবাহিকগুলি।
ঘরে বসে বসে সারাটা দিন বোর হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন যদি এই সুযোগে ফিরে পেতেন ছেলেবেলা। ভাবুন যদি দূরদর্শন পূনসম্প্রচার করে ছোটবেলার সেই হারিয়ে যাওয়া ধারাবাহিকগুলি।
যে সব পুরোনো সিরিয়াল আবার ফিরে দেখা যায় রইল তার একটি তালিকা:
হাম লোগঃ

দূরদর্শনের সর্বপ্রথম প্রচারিত ধারাবাহিক হাম লোগ। এক অর্থে ধারাবাহিকের ইতিহাসে হাম লোগ এক মাইল স্টোন। পি কুমার বাসুদেবের পরিচালনায় বসেশ্বর রামের পরিবারটি আসমুদ্র হিমাচলের দর্শকদের নিজস্ব পরিবার হয়ে গিয়েছিল। নানহে, ছুটকি, বড়কি, লাল্লু ও দাদা-দাদিকে মানুষ নিজের পরিবারে লোকজন ভাবতে শুরু করেছিল। সব থেকে আকর্ষক অংশ ছিল এপিসোডের শেষে দাদামণি অশোক কুমারের সেদিনের গল্পের বিশ্লেষন ও পরবর্তী দিনের কাহিনীর সম্ভাব্য ঘটনাগুলি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী।
মালগুডি ডেজঃ

আটের দশকে দূরদর্শনে সম্প্রচারিত অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক। আর কে নারায়নের রচনা অবলম্বনে দক্ষিণ ভারতের এক গ্রামের বালক স্বামীকে কেন্দ্র করে চিত্তাকর্ষক অথচ সরল জীবন যাত্রার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন পরিচালক শঙ্কর নাগ ও কবিতা লঙ্কেশ। প্রতিটি এপিসোডে দেখানো হত এক একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ গল্প। আজ চার দশকেরও পরে মালগুডি ডেজের জনপ্রিয়তা ও আকর্ষণ যে এখনো অটুট তা প্রমাণ করে ইউটিউবে এই ধারাবাহিকের ভিউয়ারশিপ।
নুক্কড়ঃ

এই ধারাবাহিকটিও সম্প্রচারিত হত আটের দশকে। সপ্তাহে একদিন তিরিশ মিনিট নুক্কড়ের গল্প দেখার জন্যে টিভির সামনে বসে যেতেন দূরদর্শনের অগণিত দর্শক। একটা বড় শহরের পাড়ার মোড়ের গনপত, গুরু, খোপড়ি চৌরাসিয়াদের কীর্তি কলাপ চেটেপুটে উপভোগ করত সমস্ত বয়সের মানুষ। অতি পরিচ্ছন্ন ও টানটান সংলাপ এবং সেই সঙ্গে সমস্ত অভিনেতাদের অত্যন্ত স্বাভাবিক অভিনয় দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পরিচালক আজিজ মির্জা যা সৃষ্টি করে গেছেন মানুষ আজও তা ভুলতে পারেনি।
বুনিয়াদঃ

১৯৪৭-এর দেশ ভাগকে কেন্দ্র করে অবিভক্ত ভারতের লাহোর প্রদেশে বসবাস করা এক পাঞ্জাবী পরিবারের সে দেশ থেকে পালিয়ে আসা এবং তার পরবর্তী জীবন সংগ্রাম নিয়ে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী কাহিনী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বুনিয়েদের পরিচালক ছিলেন ‘শোলে’ খ্যাত রমেশ সিপ্পি।
চন্দ্রকান্তাঃ

দেবকী নন্দন ক্ষত্রীর প্রবন্ধ অবলম্বনে এই ধারাবাহিকের গল্প। ১৯৯৪-১৯৯৬ সাল এই দু’বছর সম্প্রচার হয় এই ধারাবাহিক। খুব অল্প সময়েই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পায় এই ধারাবাহিক।
করম চাঁদঃ

দূরদর্শনের ধারাবাহিক দেখেছেন কিন্তু করমচাঁদ দেখেননি ভূভারতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। গোয়েন্দা করম চাঁদের চরিত্রে পঙ্কজ কাপুর ও তার সহকারী কিটি সুস্মিতা মুখোপাধ্যায় গোয়েন্দা গল্পের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছিলেন সিরিয়াসনেসের সাথে কমেডি মিশিয়ে।
যাত্রাঃ

বিখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ভারতীয় রেলের যাত্রী, যাত্রাপথ ও রেল স্টেশনগুলিকে নিয়ে এক অনবদ্য ধারাবাহিক বানিয়েছিলেন। প্রতিটি রেলযাত্রীর তার নিজস্ব যাত্রার সময় বিভিন্ন ছোট ছোট ঘটনা ঘটে। কখনো সহযাত্রীর বিপদে হাত বাড়িয়ে দেওয়া অথবা কখনো রেলের কামড়ায় তরুণ তরুণীর প্রেম। এইসব নিয়ে মনে দাগ কাটা এই ধারাবাহিকটি আজও সমানভাবে আকর্ষণীয়।