বিজয়নের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ বিদায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী শৈলজা

৬৪ বছরের সিপিআই বিধায়ক শৈলজা সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ৬১.৯৭ শতাংশ ভোটে মট্টানুর কেন্দ্র থেকে জিতেছেন।

May 18, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে গত বছর রাজ্যের অতিমারি পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছিলেন। সে প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি-সহ দেশ-বিদেশে সুনামও কুড়িয়েছেন। করোনার আগে কেরলে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতেও তাঁর উদ্যোগ ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছিল। তা সত্ত্বেও পিনারাই বিজয়নের নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন না আগের ক্যাবিনেটের ‘রকস্টার’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। বৃহস্পতিবার, ২০ মে তাঁকে বাদ দিয়ে শপথ নেবেন বিজয়ন মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা। শৈলজাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেরলের বাম জোট সরকার।

৬৪ বছরের সিপিআই বিধায়ক শৈলজা সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ৬১.৯৭ শতাংশ ভোটে মট্টানুর কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। তবে বিপুল ভোটে জয়ের পরেও ক্যাবিনেট পদের শিকে ছেঁড়েনি। ‘শৈলজা টিচার’ নামে পরিচিত এই বিধায়কের সপক্ষে নেটাগরিকদের একাংশের মতোই সরব হয়েছেন কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও। মঙ্গলবার শশীর টুইট, ‘কেরল ক্যাবিনেটে শৈলজা টিচারের বাদ পড়াটা দুঃখের। তাঁর প্রশ্নাতীত দক্ষতা ছাড়াও তাঁকে সব সময় উপকারী বলে মনে হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ যেত, বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতির সময়। তাঁকে মিস্ করব’।

শৈলজাকে নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হলেও তাকে পাত্তা দিতে নারাজ কেরলের বাম নেতৃত্ব। ২১ সদস্যের মন্ত্রিসভায় সিপিএমের ১২, সিপিআইয়ের ৪, কেরল কংগ্রেস (এম), জনতা দল (এস) এবং এনসিপি-র ১ জন করে বিধায়ক জায়গা পেয়েছেন। প্রত্যেকের নির্বাচনই জোট নেতৃত্বের সর্বসম্মতিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিআই (এম) নেতা এ এম শামসীর। তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভায় একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন পুরনো সদস্য। বাকি ১১ জন মন্ত্রীই নতুন মুখ। নতুন-পুরনো মিলিয়েই ক্যাবিনেট গঠিত হয়েছে। এটা দলের সকলের মিলিত সিদ্ধান্ত।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen