বাসমতী ছাড়া সব ধরনের চাল বিদেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ, মাথায় হাত বাংলার চাষীদের
বাংলার কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চালের বাজার দর ঊর্ধ্বমুখী, তাই কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা ভোটের আগে সেই দর কমাতে বাসমতী ছাড়া সব ধরনের চাল বিদেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। এতে গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের চাষিদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্যে তৈরি সুগন্ধী গোবিন্দভোগ চাল। বিদেশে এর বড় বাজার আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ফরমানে সেটা যেহেতু বন্ধ হয়ে গেল, ওই ধানের চাষ যাঁরা করেন তাঁদেরও আর্থিক ক্ষতি হবে।
এমনিতেই কেন্দ্র ২০ শতাংশ অতিরিক্ত কর আগেই আরোপ করেছিল গোবিন্দভোগ, বাসমতী নয় এমন সুগন্ধী চাল বিদেশে রপ্তানি করার জন্য। বাংলার কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেন। কেন্দ্রের ওই অতিরিক্ত করের জন্য রাজ্য অভিযোগ জানায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই অতিরিক্ত কর প্রত্যাহার করেনি। এবার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তাতে বাসমতী ভিন্ন অন্যকোনও চালই আর বিদেশে রপ্তানি করা যাবে না। গোবিন্দভোগ, তুলাইপঞ্জিসহ রাজ্যে উৎপন্ন সুগন্ধী চালগুলির কোনওটাই বাসমতী শ্রেণিভুক্ত নয়।
বাংলায় ফলন হয় চালগুলির মধ্যে বিদেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় গোবিন্দভোগ। তবে বাসমতী ছাড়া অন্য ধরনের সাধারণ কিছু চালও রপ্তানি হয় বিদেশে, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে । এছাড়া বাংলাদেশ যখন বিদেশ থেকে সাধারণ চাল আমদানি করে, তখন তা পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বেশি যায় ।