Durgapur Case: সহপাঠী ও ৫ যুবকের বয়ানে বিস্তর অমিল, মিসিং লিঙ্ক খুঁজছে পুলিশ

October 20, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩২: দুর্গাপুর ‘ধর্ষণ’ কাণ্ডের (Durgapur Rape Case) তদন্তে নতুন মোড়। পাঁচদিন টানা জেরা করেও সহপাঠী ছাত্র ও গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ যুবকের বয়ানে মিল খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। ঘটনায় এখনও একাধিক মিসিং লিঙ্ক রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

১০ অক্টোবর রাতে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে সহপাঠীর সঙ্গে জঙ্গলে যান ওই ছাত্রী। পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তাঁরা ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় পাঁচ যুবক তাঁদের দেখে ফেলেন এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। এরপরই ছাত্রী ও তাঁর সহপাঠী ‘ধর্ষণ’ অভিযোগ তোলেন বলে দাবি পুলিশের।

তদন্তে উঠে এসেছে, সহপাঠী ওয়াসিফ আলি প্রথম দিন থেকেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন। কলেজ সূত্রে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ৭.৫৮ মিনিটে দু’জনে ক্যাম্পাস ছাড়েন, ছাত্রটি ৮.৪২ মিনিটে ফিরে আসেন, আবার ৮.৪৮ মিনিটে বেরিয়ে ৯.২৯ মিনিটে ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফেরেন। এই ৪০ মিনিটের সময়কালেই কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু নির্যাতিতা, সহপাঠী এবং পাঁচ যুবকের বয়ানে এখনও বিস্তর অমিল রয়েছে।

ছাত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তদন্তের স্বার্থে তাঁকে কলেজ হস্টেলে না রেখে দুর্গাপুরের একটি ভাড়াবাড়িতে রাখা হয়েছে, যেখানে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মা। তাদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশি পাহারা। ঘটনাস্থল মোহনবাগান সরণি এখন আতঙ্কের নাম। অভিযোগ, সন্ধ্যার পর পথবাতি জ্বলে না, ফলে চিকিৎসক ও কর্মীরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছেন।

এই ঘটনার পর দুর্গাপুর নগর নিগম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শহরের ১১টি বেসরকারি কলেজের বাইরে সিসিটিভি (CCTV) বসানো হবে। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কালীপুজোর পর সব কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, এডিডিডিএ এবং মহকুমা শাসকের সঙ্গে যৌথ আলোচনায় বসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen