ঠিক কী ঘটেছিল শীতলকুচিতে? জানাল প্রত্যক্ষদর্শী মৃণাল

স্থানীয়রা জানান মৃণালের ওপর কোনও প্ররোচনা ছাড়াই এই অকথ্য অত্যাচারের কারণেই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।

April 14, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘খুব ব্যাথা করছে আম্মা’, হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে বলল ছেলেটা। মৃণাল হক, (Mrinal Haque) জোরপাটকির বাসিন্দা, পড়ে অষ্টম শ্রেণীতে। মা রাহিলা বিবি শনিবার বিকেলে ছেলেকে মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকেই তার সাথে আছেন। সে শীতলকুচির (Sitalkuchi) ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।

চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বেধড়ক পেটায় এই বাচ্চা ছেলেটিকে। যদিও কমিশনের কাছে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে রিপোর্ট পাঠান, ছেলেটি বুথের পাশেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, এক মহিলা তার দোখাশোনা করছিল, তখনই তারা তাকে উদ্ধার করেন। যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কোথায় পৌঁছে দিতে হবে জানতে চায় স্থানীয়রা ভুল ভাবেন যে বাহিনী ছেলেটিকে মারছে। তাই ৩০০-৫০০ গ্রামবাসী সেখানে একত্রিত হয়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে আর তা নিয়ন্ত্রণে আনতেই গুলি চালাতে হয় বাহিনীকে।

মৃণালকে যখন তাঁর বাড়ি জোরপাটকি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে হাসপাতালে আনা হয় তখন তার গায়ে অসহ্য যন্ত্রনা। তার কাঁধে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে একাধিক আঘাতের দাগ। তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় কী করে তার এই চোট লাগল, তার উত্তর, ‘আমি বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান এক হাত দিয়ে আমার ঘাড় ধরে অন্য হাতে আমাকে মারতে থাকে লাঠি দিয়ে। আমি কাকুতি মিনতি করি কিন্তু মারা বন্ধ হয় না। তারপর একসময় মারা বন্ধ করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই।’

স্থানীয়রা জানান মৃণালের ওপর কোনও প্ররোচনা ছাড়াই এই অকথ্য অত্যাচারের কারণেই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। স্থানীয়রা এও জানান মৃণাল বুথ থেকে ৩৫০ মিটার দূরে ছিল। কোনও কারণ ছাড়াই জওয়ানরা তার ওপর চড়াও হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen