সেলাই মেশিনের পাশে করজোড়ে বসে রয়েছেন কানাইয়ালাল? জেনে নিন আসল সত্য

বিভিন্ন গণমাধ্যম, দেশের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম, সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে প্রকাশিত কানাহাইয়ালালের ছবির সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটির কোন সাদৃশ্য নেই।

July 4, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কিছুদিন আগে উদয়পুরে একটি ঘটনার জেরে উত্তাপের আগুন ছড়িয়েছিল গোটা দেশে। উদয়পুরের জনৈক কানহাইয়ালাল তেলিকে নারকীয়ভাবে গাউস মহম্মদ ও রিয়াজ জব্বা নামের দুই ব্যক্তি শিরোচ্ছেদ করে হত্যা করে। বর্বরোচিত সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়, তার পরেই রাজস্থানজুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

দাবি:

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, সেলাই মেশিনের পাশে করজোড়ে এক ব্যক্তি বসে রয়েছেন। তাকেই মৃত কানাইয়ালাল বলে দাবি করা হচ্ছে। হ্যাশট্যাগে উদয়পুর লিখে ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই ছবির ক্যাপশন লেখা হয়েছে, “শব্দ নেই! #Udaipur

আসল সত্য:

আদপে দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। জনৈক কানহাইয়ালাল তেলি পেশাগতভাবে দর্জি ছিলেন, সেই কারণেই সেলাই মেশিনসহ ওই ব্যক্তির ছবি প্রচার করা হচ্ছে। করজোড়ে সেলাই মেশিনের পাশে বসে থাকা যোধপুরের এক ব্যক্তির ছবির সঙ্গে রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল তেলির পাশবিক খুনের ঘটনা মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর দাবিসহ এই প্রচার চালানো হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন, সেই সঙ্গে বিজেপি ও তাদের ঘনিষ্ঠ কিছু সংগঠন এই সব দাবি ক্রমাগত ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার নেপথ্যে রয়েছে, ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা।

অনুসন্ধান করে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাল ছবিটি ২০১৫ সালের ২৮ মার্চ তারিখের। ভাইরাল ছবিটির সঙ্গে উদয়পুরে খুন হওয়া কানহাইয়ালালের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। ছবির ওয়েবসাইট সাটারস্টকে ছবিটি রয়েছে। ছবিটি ২৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে তোলা হয়েছিল। ছবির ক্যাপশন লেখা হয়েছিল, “যোধপুরের রাস্তার দৃশ্য নীল শহর ভারতের যোধপুরে।”

বিভিন্ন গণমাধ্যম, দেশের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম, সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে প্রকাশিত কানাহাইয়ালালের ছবির সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটির কোন সাদৃশ্য নেই। অর্থাৎ দাবিটি সম্পূর্ণই ভুয়ো। কেবলমাত্র ধর্মীয় প্ররোচনা ও উস্কানি ছড়াতেই এমন ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen