মমতার দেওয়া ‘নোনা স্বর্ণ’ ধান চাষে ব্যাপক লক্ষ্মী লাভ কৃষকদের

November 29, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় কৃষিকাজ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলির বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমিতে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে নষ্ট হয়ে যায় ফসল। নোনা জলের জেরে চাষের মাটি লবণাক্ত হয়ে পড়ে। যে মাটিতে চাষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু নোনা জল ঢুকে নষ্ট হওয়া সেইসব জমিতেই এবার ব্যাপক ফলন হল ‘নোনা স্বর্ণ’ ধানের। সৌজন্যে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।


প্রসঙ্গত, যশের পর কৃষকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের এমন ধানের বীজ দেওয়া হবে, যা নোনা মাটিতেও উৎপন্ন হবে। সেইমতো প্রশাসনের তরফে চাষিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নোনা ধানের বীজ ‘নোনা স্বর্ণ’। জুন মাসের ১৭ তারিখ নবান্ন সভাগৃহে মুখ্যমন্ত্রী নতুন কৃষকবন্ধু অনুষ্ঠানে এই বীজ তুলে দেন।

উত্তর ২৪ পরগনার প্রায় ২ লক্ষ বিঘা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী ব্লকগুলিতে নোনা স্বর্ণ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক চাষির হাতে বিঘাপ্রতি ৬ কিলোগ্রাম বীজ এবং তার সঙ্গে জিঙ্ক ও বীজ পরীক্ষার রাসায়নিকও দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১২২০ মেট্রিক টন নোনা স্বর্ণর বীজ দেওয়া হয়। অবস্থা সামাল দিতে উপকূলবর্তী এলাকার ১৮৪০ কমিউনিটি নার্সারি থেকে ‘কমিউনিটি সিডবেড’ বা বীজতলা তৈরি করে দেওয়া হয়।

সঠিক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপ করার কয়েক মাসের মধ্যেই এই নোনা স্বর্ণর বীজ থেকে ব্যাপক ফলন হয় সুন্দরবন এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদেও ব্যাপক ফলন হয়েছে বলে খবর। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্যের কৃষিবিজ্ঞানীরা স্থানীয়ভাবে এই ধরনের বীজ তৈরি করেছেন, যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে জমি নোনাজলে নষ্ট হলেও ধান চাষ করা যায়। বীজ দেওয়ার পাশাপাশি চাষিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেন বিজ্ঞানীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen