২৬ জানুয়ারি দিল্লির আউটার রিং রোডে কিষান প্যারেড

ট্রাক্টর-মিছিলের নেতৃত্ব দিতে পারেন মহিলা কৃষকরা।

January 18, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আগামী ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাস্তায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার কিষান প্যারেড করবেন কৃষকরা। রবিবার এই ঘোষণা করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা (Farmers Unions)। তারা জানিয়েছে, ২৬ জানুয়ারির কিষান প্যারেডে রাখা হবে ট্রাক্টর-ট্যাবলো। কৃষকদের ক্তব্য, তাঁদের সঙ্কট, দাবিদাওয়ার উল্লেখ থাকবে সেই ট্যাবলোগুলিতে। প্রতিটি ট্রাক্টরে থাকবে জাতীয় পতাকা। এদিন আন্দোলনকারীরা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর-মিছিল হবে দিল্লির মধ্যেই। পুলিস-প্রশাসন চাষিদের আটকানোর চেষ্টা করলে তার দায় পুলিসকেই নিতে হবে। কৃষকরা (Farmers) ওইদিন দিল্লিতে ঢুকবেন এবং মিছিল করবেন।’ সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লির ৫০ কিলোমিটার আউটার রিং রোডে কিষান প্যারেডের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ, এই রুটের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জানকপুরী, নেহরুপ্লেস, খেলগাঁও, আইআইটি, বসন্তকুঞ্জ, মুনিরকা, আরকে পুরমের মতো দিল্লির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।

বিক্ষোভরত কৃষকরা জানিয়েছেন, দিল্লির ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব এলাকা রয়েছে, সেখান থেকে ২৫ জানুয়ারি রাতের মধ্যে কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লি সংলগ্ন বিভিন্ন সীমানায় জমায়েত করতে শুরু করবেন। দূরবর্তী যেসব রাজ্যের কৃষকরা কোনওভাবেই দিল্লিতে পৌঁছতে পারবেন না, তাঁদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজধানী শহরে একইভাবে ট্রাক্টর-মিছিলের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সংযুক্ত কিষান মোর্চা এদিন জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই কিষান প্যারেডের বিস্তারিত অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করা হবে। জানা যাচ্ছে, ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাস্তায় বাইক-মিছিলও করতে পারেন কৃষকরা। ট্রাক্টর-মিছিলের নেতৃত্ব দিতে পারেন মহিলা কৃষকরা।

কিষান মোর্চা জানিয়েছে, সোমবার দিল্লি সংলগ্ন সীমানাগুলির পাশাপাশিই সারা দেশে মহিলা কিষান দিবস পালন করা হবে। মহিলা কৃষক ইস্যুতে সরকারের কাছে পেশ করা হবে মোট ১২ দফা দাবি। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠিও পাঠিয়েছে সারা ভারত কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি। আগামী ৩০ জানুয়ারি দিল্লির সীমানায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালনেরও পরিকল্পনা করছেন কৃষকরা।

কেন্দ্রকে চাপে ফেলে এদিন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, কৃষকরা চাইলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারেন। কারণ এটি তাঁদের নীতির লড়াই। ৫৪ দিনের লড়াইয়ে ১৩১ জন কৃষক ‘শহিদ’ হয়েছেন। এরপরেও তাঁরা পিছু হটবেন না। এদিন বিক্ষোভরত কৃষকরা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আন্দোলন দমন করতে না পেরে এনআইএ’কে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। কৃষকরা আইনিভাবেই এর লড়াই করবেন।’ আন্দোলনের সমর্থনে তাঁদের কারা অর্থ সাহায্য করেছেন, তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen