আদিতেই ভরসা বিজেপির, কী হবে শুভেন্দুর ভবিষ্যত?
সম্প্রতি, ঝাড়গ্রামে বিজেপির নতুন ও পুরোনো কর্মীদের মধ্যে ঝামেলার খবর পাওয়া গেছে। জেলা বিজেপি সভাপতি তুফান মাহাতোর বিরুদ্ধে বাকি গোষ্ঠীর নেতারা মুখ খুলেছেন।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৪৭: আর মাত্র কয়েক মাস বাকি বাংলার বিধানসভা ভোটে। কিন্তু বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল চলছেই।
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে বিজেপির নতুন ও পুরোনো কর্মীদের মধ্যে ঝামেলার খবর পাওয়া গেছে। জেলা বিজেপি সভাপতি তুফান মাহাতোর বিরুদ্ধে বাকি গোষ্ঠীর নেতারা মুখ খুলেছেন। অভিযোগ কোন নিয়ম নীতি না মেনে নিজের ইচ্ছেমতন নিজের লোকদের নিয়ে দল চালাচ্ছেন তিনি।
সদ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বারংবার দাবি করছেন, আদি-নব্য কোনও দ্বন্দ্বই নেই গেরুয়া শিবিরে।
কিন্তু সূত্র মারফত খবর, দীর্ঘদিন ধরে তিল তিল করে রাজ্যে বিজেপিকে কিছুটা হলেও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন যে আদি নেতা-কর্মীরা, চার দশকেরও অধিক সময়ের বিজেপি কর্মী শমীকবাবু, নিজের নতুন টিমে তাঁদের বেশি গুরুত্ব দিতে চলেছেন।
পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অন্য দল ভাঙিয়ে পার্টিতে যোগদানের হারে রাশ টানতে চাইছেন তিনি। এই অবস্থায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজেপিতে আশা পাল্টিবাজরা।
আগামী বিধানসভা ভোটে প্রত্যেক দলবদলু আদৌ প্রার্থী হবেন কিনা সেই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। ১০ এবং ১১ জুলাই দিল্লিতে ছিলেন শমীকবাবু। ‘আদি’ কৌশলে যে সঙ্ঘের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও আপত্তি নেই, বোঝাই যাচ্ছে।
এবার তাহলে কি হবে শুভেন্দুর মতন দলবদলু নেতাদের? মুখ্যমন্ত্রী তো দূরের কথা, আর কোনও দিন কি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও হতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী? উঠছে প্রশ্ন।