উৎসবের আসল রঙ মেলে শান্ত মনে, হালকা মেজাজে
এবারের পুজোয় তাই শুধু কেনাকাটা বা ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা নয়, বরং নিজের মনকে একটু সময় দেওয়াও পুজো প্রস্তুতির অঙ্গ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:১০: পেশা থেকে সংসার, সর্বত্রই থাকে কোনও না কোনও চাপ। দিনভর ব্যস্ততার শেষে ক্লান্ত শরীর, অশান্ত মন। অথচ সামনে পুজো! কাশফুল, ঢাকের আওয়াজ, আলোয় ভরা রাত্রি- সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে হলে চাই হালকা মেজাজ, শান্ত মন। না হলে আনন্দের মাঝেও থেকে যাবে অপূর্ণতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মন শান্ত না থাকলে শরীরও সুস্থ থাকে না। পুজোর দিনগুলোয় অন্তত চাই চাপমুক্ত মন এবং মানসিক প্রশান্তি। তাই এখন থেকেই শুরু করতে হবে ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপ-
- সময়ের সঠিক ব্যবহার
কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে শিখতে হবে। অফিসের কাজকে বাড়িতে না টেনে এনে কিছুটা সময় নিজের ও পরিবারের জন্য রাখা জরুরি। - ধ্যান ও যোগাভ্যাস
প্রতিদিন মাত্র ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম মনকে প্রশান্ত করতে পারে। - ডিজিটাল ডিটক্স
সোশ্যাল মিডিয়ায় অবিরাম স্ক্রল না করে নিজের জন্য সময় বের করে নিলে অনেক দরকারি কাজ করা যায়, আর তাতে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। - শখকে জীবিত রাখা
গান শোনা, বই পড়া, ছবি আঁকা কিংবা যে কোনও শখকে সময় দেওয়া- মনকে হালকা রাখার সহজ উপায়। - নিজেকে প্রাধান্য দেওয়া
অনেক সময় পরিবার বা কাজের চাপে নিজেকে ভুলে যাই আমরা। কিন্তু নিজেকে ভালো না রাখলে অন্যকে ভালো রাখা যায় না। নিজেকে যত্ন করলে তবেই অন্যকে আনন্দ দেওয়া যায়।
মনোবিদরা বলছেন, স্ট্রেস পুরোপুরি এড়ানো না গেলেও তার মোকাবিলা করা যায়। শান্ত মনই জীবনের আসল সম্পদ। আর সেই মন যদি প্রশান্ত থাকে, তবে উৎসবের আনন্দও উপভোগ করা যায় পূর্ণতা নিয়ে।
এবারের পুজোয় তাই শুধু কেনাকাটা বা ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা নয়, বরং নিজের মনকে একটু সময় দেওয়াও পুজো প্রস্তুতির অঙ্গ। তবেই বাস্তবে সম্পূর্ণ হবে উৎসবের আমেজ।