বিপাকে অরিজিৎ সিং ও তাঁর দেহরক্ষী, ‘চ্যাংদোলা করে সরানো’য় থানায় অভিযোগ দায়ের সঙ্গীত যন্ত্র নির্মাতার
অভিযোগ, তাঁর দেহরক্ষীর সঙ্গে মিলে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে হেনস্থা করেছেন তিনি। ধস্তাধস্তির মধ্যে ওই ব্যক্তির সোনার আংটিও হারিয়ে যায়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২৩:৪২: শান্তিনিকেতনে শুটিং চলাকালীন নতুন বিতর্কে জড়ালেন সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। অভিযোগ, তাঁর দেহরক্ষীর সঙ্গে মিলে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে হেনস্থা করেছেন তিনি। ধস্তাধস্তির মধ্যে ওই ব্যক্তির সোনার আংটিও হারিয়ে যায়।
মঙ্গলবার, ১৩ অগস্ট শান্তিনিকেতন থানার তালতোড় এলাকায় শুটিং করছিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক মাস ধরে তিনি এই এলাকায় শুটিংয়ের জন্য আসছেন। সকালবেলায় কোপাইয়ের দিকে কাজে যাচ্ছিলেন সুভাষপল্লীর বাসিন্দা কমলাকান্ত লাহা। পেশায় তিনি সঙ্গীত যন্ত্রাংশ নির্মাতা।
অভিযোগ, রাস্তায় শুটিং চলার কারণে অরিজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষীরা তাঁকে পথের মাঝেই থামিয়ে দেন। প্রথমে ৫ মিনিট অপেক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে জানানো হয়, আরও ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
কমলাকান্ত লাহার অভিযোগ, কাজের চাপ থাকায় তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের অনুরোধ করেছিলেন যেতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কথা কাটাকাটির পর দেহরক্ষীরা ছুটে এসে তাঁর হাত মচকে চ্যাংদোলা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। এমনকি, তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে তুলতে চেয়েছিলেন তারা। সেই সময় ধস্তাধস্তির মধ্যেই হারিয়ে যায় তাঁর হাতের সোনার আংটি।
ঘটনার পর কমলাকান্ত লাহা প্রথমে শান্তিনিকেতন থানায় গিয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। পরে তিনি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। বীরভূমের পুলিশ সুপার জানান, অভিযোগের প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে কমলাকান্ত বলেন, “আমি একজন শিল্পী। আরেকজন শিল্পী আমার সঙ্গে এমন আচরণ করবেন, তা কল্পনাও করিনি।”
খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের শুটিংয়ের সময় তাঁর এ ধরনের আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বহু মানুষ।