জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরে আগুন নেভাতে দমকলের ভরসা ‘বুলেট’

সেখানেই প্রথমবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় ওই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘বুলেট নিরাপত্তা’ মোতায়েনের কথা জানায় দমকল কর্তৃপক্ষ

November 1, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গতি এবং যে কোনও জায়গায় যেতে পারার ক্ষমতা—দুই শক্তিতে বলীয়ান দমকলের বুলেট অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি। সেই বিশেষ গাড়িই এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় মোতায়েন করবে দমকল। কমপক্ষে আটটি বুলেট গাড়ি আগুন সামাল দিতে প্রস্তুত থাকবে সাবেক ফরাসি কলোনির উৎসবে। সম্প্রতি পুজো নিয়ে উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। সেখানেই প্রথমবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় ওই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘বুলেট নিরাপত্তা’ মোতায়েনের কথা জানায় দমকল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে পুজোর উদ্যোক্তাদের মহলেও জেগেছে কৌতূহল।

ঠিক কেমন এই বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ যান? দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি আদতে বিশেষ একটি সংস্থার বুলেট নামের বাইক। কিন্তু শুধু সংস্থার দেওয়া নাম নয়, দমকল মহলে এই বিশেষ যানটি বুলেট নামেই পরিচিত। কারণ, তার তৎপরতা বা গতি। বাইকের সঙ্গে দু’টি বিশেষ সিলিন্ডার রাখা থাকে। তাতে থাকে আগুন নেভানোর জন্য জল ও ফোম। একটি ছোট বাতাস ভর্তি সিলিন্ডারের মাধ্যমে তা কাজ করে। মূল দু’টি সিলিন্ডারে দশ লিটার করে মিশ্রণ থাকে। আর থাকে বিশেষ রকমের পাইপ। বাইকে থাকে একটি আগুন নেভানোর গ্যাস সিলিন্ডারও।

দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আরও একটি নতুন ‘বুলেট যান’ আনা হয়েছে। তাতে আগুন প্রতিরোধী উপাদান অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে বিশেষ পাম্প ও বাড়তি পাইপ রয়েছে। চন্দননগর দমকল বিভাগের ওসি বলদেব সাঁতরা বলেন, ‘চন্দননগরের ছোট্ট পরিসরে প্রায় ১৫০টি পুজো হয়। ভদ্রেশ্বর ও অন্য কয়েকটি এলাকা মিলিয়ে পুজোর সংখ্যা ১৭৭। প্রাচীন শহর হওয়ায় অনেক জায়গায় দমকলের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না। তাছাড়া, জগদ্ধাত্রী পুজোর মরশুমে ভিড়ও থাকে। তাই বুলেট যান বিশেষ কার্যকরী হবে। ওই যানগুলি এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শহরের নির্দিষ্ট জায়গায় প্রাথমিকভাবে আটটি গাড়ি ব্যবহারের পরিকল্পনা হয়েছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen