CAA-তে নাগরিকত্ব পেতেই ‘ফুলবদল’, এক সপ্তাহের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ নদীয়ার বিজেপি কর্মীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:০০: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (CAA) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই নদিয়ায় দেখা গেল এক অভিনব রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। বিজেপি (BJP) বিধায়কের হাত ধরে আবেদন করে ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পাওয়ার ঠিক সাত দিনের মাথায় তৃণমূলে যোগ দিলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার চাকদহে (Nadia Chakdaha)। এই ঘটনায় জেলাজুড়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী ওই ব্যক্তির নাম শঙ্কর কুমার রায় (Shankar Kumar Roy)। তিনি নদিয়ার চাকদহ পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং পেশায় আইন সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় তিনি নদিয়া জেলার হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক অসীম সরকারের (Ashim Sarkar) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিধায়কের সহায়তাতেই তিনি সিএএ-তে আবেদন জানান। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে বিধায়কের নির্দেশেই নিজের বাড়িতে সিএএ ক্যাম্পও করেছিলেন শঙ্করবাবু, যেখানে বহু মানুষ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং অনেকে নাগরিকত্ব পেয়েওছিলেন।
শঙ্কর রায় নিজেও আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যেই নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট হাতে পান। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ বাদে, রবিবার তিনি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে শাসক দল তৃণমূলে যোগদান করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় চাকদহ রেল স্টেশন সংলগ্ন রথতলা এলআইসি (LIC) অফিসের সামনে ‘অপরিকল্পিত এসআইআর’ (SIR)-এর প্রতিবাদ ও বাংলার ভোট রক্ষার স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভামঞ্চেই শঙ্কর কুমার রায় এবং আরও পাঁচজন বিজেপি কর্মী তৃণমূল নেতৃত্বের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে শঙ্কর কুমার রায় স্পষ্ট জানান, নাগরিকত্ব পাওয়ার সঙ্গে বিজেপি করার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “অসীম সরকারের হাত ধরে আবেদন করেছিলাম। নাগরিকত্ব পেয়েছিলাম। সিএএ-তে আবেদন করেছি মানেই তো বিজেপি নয়। আমি মাননীয়ার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ওপর ভরসা রেখে এবং উন্নয়নের জোয়ারে শামিল হতেই তৃণমূলে যোগদান করেছি। তৃণমূল আশ্বাস দিয়েছে আমার সঙ্গে থাকবে।”