আগামী এক মাসে বাজার চাঙা হওয়ার আশা দেখছেন ফুলচাষি, ব্যবসায়ীরা

পরিস্থিতি এমনও হয়েছে, বাজারে ফুল এনে বিক্রি না করতে পেরে সব ফেলে দিয়ে ফিরে গিয়েছেন ব্যবসায়ী।

January 14, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনার জেরে বারবার লকডাউন বা কড়া বিধি-নিষেধ জারি হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। অসময়ের বৃষ্টি ভোগাচ্ছে সবাইকে। সব ধরনের চাষে লোকসান বাড়াচ্ছে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা। এসবের পাশাপাশি  পৌষ মাস ছিল মলমাস। এমন মাসে বিয়ে সহ কোনও শুভ অনুষ্ঠান হয় না। এসব কারণে গত প্রায় এক মাস ফুলের বাজারে কেনাবেচা একেবারে তলানিতে। পরিস্থিতি এমনও হয়েছে, বাজারে ফুল এনে বিক্রি না করতে পেরে সব ফেলে দিয়ে ফিরে গিয়েছেন ব্যবসায়ী। এই অবস্থায় মাঘ মাস তাঁদের নতুন আশা দেখাচ্ছে। মলমাসের গেরো আর থাকছে না। এই মাসেই পাঁচটি বিয়ের তিথি পড়েছে। এছাড়া সরস্বতী পুজো, নেতাজি জন্মজয়ন্তী, সাধারণতন্ত্র দিবস সহ বেশ কিছু অনুষ্ঠানও রয়েছে। এই অনুষ্ঠানগুলিতে প্রচুর ফুল প্রয়োজন হয়। তাই ফুলচাষি, ব্যবসায়ীরা আগামী মাসে বাজার চাঙা হওয়ার আশা করছেন। গত এক-দেড় মাসে যে লোকসান হয়েছে, তা পুরোপুরি পূরণ না হলেও কিছুটা লাভের মুখ তাঁরা দেখতে পাবেন বলে মনে করছেন।সম্প্রতি কলকাতার জগন্নাথ ঘাট ফুলবাজারে গিয়ে ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে জানা গেল।

আমতার ব্যবসায়ী অতুল নস্কর নিজে ফুল চাষও করেন। তিনি বলেন, পৌষমাসে প্রায় কোনও বিক্রি হয়নি। ফুল এনে বিক্রি না করতে পেরে এখানে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছি। ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। আমাদের এটাই তো একমাত্র জীবিকা। আগামী এক মাসে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো না হলে আমাদের পথে বসতে হবে। উলুবেড়িয়ার ফুল ব্যবসায়ী তপন সামন্ত বলেন, গাড়ি ভাড়া করে বাজারে ফুল আনা, চাষের খরচ ইত্যাদি সব মেটানোর পর হাতে আর কিছু থাকছে না। বিক্রি না হওয়ায় অনেক ফুল ফেলে দিতে হয়েছে। মাঘ মাসে অনেকগুলি শুভদিন আছে। ফুলের চাহিদা বাড়বেই। করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ না হলে কিছুটা ভালো আশা করছি। সারা রাজ্য ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ নায়েক বলেন, গত এক মাসে প্রায় আড়াই-তিন কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে ফুল ব্যবসায়। যানবাহন, ট্রেন চলাচল অনিয়মিত থাকার কারণে সমস্যা বেড়েছে। অসময়ের বৃষ্টির জন্য ফুল ও গাছ দুইই নষ্ট হয়েছে। চাহিদা একেবারে না থাকায় বাধ্য হয়ে অনেক ব্যবসায়ী  ফুল ফেলে দিয়েছেন। এসবের পরও বাগানে যারা কাজ করে, তাদের পারিশ্রমিক, চাষের খরচ সবই বেড়েছে। এই অবস্থায় সরকার যদি আমাদের জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়, তাহলে অনেক সুবিধা হয়। তবে মাঘ মাসে আমরা ভালো ব্যবসার আশা করছি। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen