আশা জাগিয়ে শুরু করলেও শীত এখনও প্রত্যাশিত মানে পৌঁছতে পারেনি এখনও, কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৮:০০: লা নিনা এবং উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে রাজ্যে এ বার জাঁকিয়ে শীত পড়বে এই পূর্বাভাসে গলদ ছিল না। কিন্তু দেখা গেল, দারুণভাবে আশা জাগিয়ে শুরু করলেও শীত প্রত্যাশিত মানে পৌঁছতে পারেনি এখনও। পৌষ মাস পড়লেও কনকনে ঠান্ডার দেখা নেই। টানা দু’দিন কলকাতার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির সেলসিয়াসের ঘরে থাকার পর, শুক্রবার রাতে নেমেছে ১৬ ডিগ্রিতে সেলসিয়াসে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে পারদ ঘোরাফেরা করছে ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তবে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, বড়দিনের আগে পারদ পতন হলেও জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। জমাটি ঠান্ডার আমেজ উপভোগ করতে শীতপ্রেমীদের অপেক্ষা করতে হবে নতুন বছরের জানুয়ারির পর্যন্ত।
আপাতত রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সপ্তাহান্তে অর্থাৎ আজ শনিবার এবং আগামিকাল রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট থাকবে। দৃশ্যমানতা অনেকটা নেমে যেতে পারে। আজ পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে কুয়াশার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই তিন জেলায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নামতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের মত সপ্তাহান্তে উত্তরবঙ্গেও থাকবে কুয়াশার দাপট। আজ দুই দিনাজপুর, মালদায় দৃশ্যমানতা নামতে পারে ৫০ মিটারে। সেখানেও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের শীতলতম স্থান ছিল শ্রীনিকেতন৷ সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের সমতলের মধ্যে শীতলতম স্থান ছিল আলিপুরদুয়ার৷ যেখানে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।