খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না ফ্যাট জাতীয় খাবার

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান? স্লিম আর ফিট থাকতে চান? হার্টের রোগ বা সুগার এড়াতে চান? অতএব ফ্যাট নৈব নৈব চ, এমন ভাবাটাই তো রেওয়াজ ।

March 3, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান? স্লিম আর ফিট থাকতে চান? হার্টের রোগ বা সুগার এড়াতে চান? অতএব ফ্যাট নৈব নৈব চ, এমন ভাবাটাই তো রেওয়াজ । কিন্তু সেটা কি সর্বৈব ঠিক? পুষ্টিবীদদের অনেকেই বলছেন, ফ্যাট খেতে হবে,পরিমাণ মতো ফ্যাট খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীরের বরঙ উপকার হবে।

কিন্তু কীভাবে?

যেমন ফিটনেস এক্সপার্ট মুনমুন গানেরইয়াল বলছেন, ফ্যাট পাকস্থলী খালি হওয়ার প্রক্রিয়াকে দেরী করায়। খাদ্যকে ব্লাড সুগার হওয়ার প্রক্রিয়াকেও দেরী করায়। ফলে ফ্যাট বেশী থাকলে সুগার পরিপাক হতে দেরী হয়। এর ফলে কমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই। খাদ্যে জিআই কম হলে তা ডায়াবেটিস, পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে আনতে আর ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কিন্তু সব ফ্যাটই কি ভালো? নাকি বাজে ফ্যাটও আছে? ডায়েটিসিয়ান জামরুদ প্যাটেল জানাচ্ছেন, মনোআনস্যাচুরেটেড আর পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভালো ফ্যাট। আর স্যাচুরেটেড বা ট্রান্সফ্যাট শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

ভালো ফ্যাটগুলি পাওয়া যায় ভুট্টা, সূর্যমুখী, নন হাইড্রোজেনেটেড সয়াবিন তেলে। অলিভ, চিনাবাদাম, কানোলা তেলেও পাবেন এই ফ্যাট। স্যামন, ম্যাকরেল বা সার্ডিনের মতো মাছে। ফ্ল্যাক্সসিডস, অ্যাভোকাডো এবং প্রায় সব ধরনের বাদামেই এই ফ্যাট পাওয়া যায়।

আরও আনন্দের কথা ওঁরা বলছেন, নিয়মিত ঘি খেতে। ঘিতে আছে শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড বা এসসিএফএ, যা বডি ফ্যাটকে ভেঙে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঘি পেট ভরিয়ে রাখার অনুভূতিকে বাড়িয়ে দিয়ে দুটো ‘মিল’-এর মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়াতেও সাহায্য করে। ঘিয়ের আর একটা উপকারিতা হল ঘি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আর অন্ত্রের প্রদাহ প্রশমনে সাহায্য করে।

যাঁরা শরীরে ভিটামিন ডি–এর মাত্রা বাড়াতে চান, তাঁদের কিন্তু ঘি বা নারকেলের মতো ফ্যাট খেতেই হবে। স্কিমড বা ডবল টোনড দুধের বদলে মাখন সমৃদ্ধ দুধ খাওয়া ভালো। আর ভিটামিন ডি কম থাকলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড এর সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen