শেষ থেকে শুরু! দশমীতেই ২০২৬-র দুর্গাপুজোর ঘোষণা কলকাতার চার খ্যাতনামা ক্লাবের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:০০: উমা ফিরে গিয়েছেন কৈলাশে। উৎসব শেষ! কিন্তু মনের অন্তপুরে যে দুর্গা বাস করেন তাঁর কি বিসর্জন হয়? ঠাকুরের বিসর্জন তো হয় না। শেষ থেকেই শুরু হয় আগামীর প্রতীক্ষা। আগামী বছর কোন ভাবনাকে সামনে রেখে পুজো মণ্ডপ তৈরি হবে, সেই পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেন উদ্যোগক্তারা। কলকাতার চার অন্যতম বড় পুজো, আগামী বছরেও এবারের শিল্পীদের উপরেই ভরসা রাখছে। তারা হল দমদম তরুণ দল, কাশী বোস লেন, চালতাবাগান এবং হিন্দুস্থান পার্ক। যেমন ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
দমদম তরুণ দলের থিম ছিল ‘ছাপ’। শিল্পী পূর্ণেন্দু দে। আগামী বছরও তাঁর উপরেই ভরসা রাখছেন পুজো উদ্যোগক্তারা। ক্লাবের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ঘোষণাও করে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ‘অম্লান থাক সাফল্যের ছাপ/ প্রবীণ ভাবনায় প্রাক-সুবর্ণ ধাপ। ৪৯তম বর্ষ, আবার পূর্ণেন্দু দে।’
কাশী বোস লেনের পুজোর এবারের থিম ছিল পাকদণ্ডী। সাহিত্যে লীলা মজুমদারের অবদানকে থিমের মাধ্যমে সাজিয়ে তুলেছেন শিল্পী অনির্বাণ দাস। একাধিক পুরস্কার, প্রশংসা ও দর্শনার্থীদের ভালোবাসা পেয়েছে তাঁর কাজ। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালেও শিল্পী অনির্বাণ দাসকেই মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব দিচ্ছেন কাশী বোস লেনের উদ্যোক্তারা। ‘২৬শে অনির্বাণ’ নামে একটি পোস্টার প্রকাশ্যে এসেছে।
চালতাবাগান সর্বজনীনও আগামী বছরের থিম শিল্পীর নাম জানিয়েছে। এবার ২০২৫ সালে প্রদীপ্ত কর্মকারের হাতে চালতাবাগানের মণ্ডপ তৈরি হয়। ভাবনা ছিল ‘আমি বাংলায় বলছি’। যা আদায় করে নিয়েছে নানা মহলের প্রশংসা। ২০২৬ সালে চালতাবাগানের সর্বজনীনের মণ্ডপ গড়বেন শিল্পী প্রদীপ্ত কর্মকার।
হিন্দুস্থান পার্কের পুজো আয়োজকেরাও ঘোষণা করেছেন আগামীর পরিকল্পনা। ২০২৫-এ হিন্দুস্থান পার্কের ভাবনা ছিল লোকজ। রাঢ় বাংলার ঐতিহ্য, আদিবাসী মানুষদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। এবারের শিল্পী মলয় রায় এবং শুভময় সিনহার উপরেই আগামী বছরের জন্য আস্থা রাখছেন তারা। ঘোষণায় জানানো হয়েছে, ‘২৬ এর মলয় সমীরণে আগমনী হোক শুভময়’।