ছানাবড়া, মতিচুরের লাড্ডু থেকে বারুইপুরের পেয়ারা, বাংলার আরও সাতটি পণ্য GI তকমা পেল
বাংলার নলেন গুড়ের সন্দেশ, কামারপুকুরের সাদা বোঁদে, মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া, বিষ্ণুপুরের মতিচুরের লাড্ডু, রাঁধুনিপাগল চাল, বারুইপুরের পেয়ারা এবং মালদহের নিস্তারি সিল্ক সুতো

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছে হরেক পণ্য বা প্রাকৃতিক সম্পদ। তাদের বাণিজ্যিক বা অর্থকরী গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু মেধাসত্ত্বের অভাবে সেসব পণ্যের যথাযথ বাণিজ্যিক ব্যবহার হয় না। বিশ্বের দরবারে পণ্যগুলিকে যথাযথ মর্যাদা দিতেই পেটেন্ট বা কপিরাইটের মতোই জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনের উপর গুরুত্ব দিতে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারও বাংলার নিজস্ব পণ্যকে স্বীকৃতি দিতে সব রকমের সহায়তা দিতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই বাংলায় বহু পণ্য জিআই তকমা পেয়েছে। তাতে নতুন করে যোগ হল আরও সাতটি পণ্য। সেগুলি হল বাংলার নলেন গুড়ের সন্দেশ, কামারপুকুরের সাদা বোঁদে, মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া, বিষ্ণুপুরের মতিচুরের লাড্ডু, রাঁধুনিপাগল চাল, বারুইপুরের পেয়ারা এবং মালদহের নিস্তারি সিল্ক সুতো।
রাঁধুনিপাগল চালের জন্য জিআইয়ের আবেদন করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের স্টেট এগ্রিকালচারাল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এক্সটেনশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। কৃষিপণ্য বিভাগে এই পণ্যের আবেদন করে তারা। বারুইপুর ফার্মার্স প্রোডিউসার কোম্পানির তরফে একই বিভাগে আবেদন করা হয়েছিল বারুইপুরের পেয়ারারও। রাজ্যের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন মিষ্টি উদ্যোগের তরফে জিআইয়ের আবেদন করা হয় কামারপুকুরের সাদা বোঁদে, মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া, বিষ্ণুপুরের মতিচুরের লাড্ডু এবং বাংলার নলেন গুড়ের সন্দেশের জন্য। মালদহ সিল্ক ইয়ার্ন প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন আবেদন জানায় তাদের নিজস্ব রেশন সুতোর জিআই স্বীকৃতির জন্য। মিষ্টি উদ্যোগের প্রেসিডেন্ট ধীমান দাশের কথায়, এর আগে বাংলা থেকে রসগোল্লার পাশাপাশি জয়নগরের মোয়া, বর্ধমানের মিহিদানা ও সীতাভোগের মতো বাঙালির অতি প্রিয় মিষ্টিগুলি জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই তালিকায় আরও কয়েকটি মিষ্টি যুক্ত হওয়ায় আমরা খুশি।