মৌলিক অধিকার না পেলে আত্মনির্ভরতা কীভাবে? এনআইটিতে ছাত্রের প্রশ্নে অস্বস্তিতে সুকান্ত

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২.৩৫: ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার আলোচনাসভা কিছু সময়ের জন্য রূপ নিল বিতর্কের মঞ্চে। শুক্রবার দুর্গাপুর এনআইটিতে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়ে এক ছাত্রের প্রশ্নে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
প্রথমে মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখছিলেন সুকান্ত। পরে কর্ডলেস মাইক্রোফোন হাতে তিনি নেমে গিয়ে সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। অধিকাংশ প্রশ্নোত্তর নিরিবিঘ্নেই চলছিল। তবে রাজস্থান থেকে পড়তে আসা আয়ুষ নামের এক ছাত্রের প্রশ্নে সভায় হঠাৎ উত্তেজনা তৈরি হয়।
আয়ুষ প্রশ্ন করেন, “যেখানে মৌলিক অধিকারগুলো পাওয়ার জন্যই লড়াই করতে হয়, সেখানে আত্মনির্ভরতা কীভাবে সম্ভব?” সরাসরি উত্তর না দিয়ে মন্ত্রীর জবাব, “সমাধান বলুন। আমি আপনার কাছ থেকেই সমাধান জানতে চাই।”
এ সময় এনআইটির নির্দেশক অরবিন্দ চৌবে আলোচনায় হস্তক্ষেপ করেন। তিনি আয়ুষকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আয়ুষ জানান, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা না থাকলেও দেশের বহু মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাঁর কথায়, “মানুষকে অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে। স্কুলে বাচ্চাদের বসার জায়গা নেই।” পাশাপাশি তিনি মন্ত্রীকে পরামর্শ দেন, “আপনাদের উচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা বোঝা।”
প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত বলেন, “চীনে গিয়ে কি এমনভাবে বলা যাবে?” যদিও আয়ুষ নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। বরং তাঁর মন্তব্যে দর্শকাসনের একাংশ হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান।
অবশেষে পরিস্থিতি সামলাতে মন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রী। আপনাদেরই সমাধান দিতে হবে। মানুষ সমস্যার কথা বলবেন, কিন্তু তার সমাধান আপনাদের মতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই আসা উচিত।”