বৈশাখ মাসেই পুজো হয় মা গন্ধেশ্বরীর – জানেন কোন সম্প্রদায়ের দেবী তিনি?

মা গন্ধেশ্বরী মূলতঃ বৈশ্য বণিক শ্রেনীর আরাধ্য দেবী। কয়েকশ বছর আগে বাংলার গন্ধবণিকরা এই দেবীর পূজা প্রচলন করেন বাণিজ্যে শ্রীবৃদ্ধির জন্য।

April 26, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে মা গন্ধেশ্বরীর পূজা করা হয়, ছবি সৌজন্যে- কমলিকা দাস/ফেসবুক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বনে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে মা গন্ধেশ্বরীর পূজা করা হয়। মা দুর্গারই আরেক রূপ তিনি। তবে এই রূপে দেবী চতুর্ভুজা।

মা গন্ধেশ্বরী মূলতঃ বৈশ্য বণিক শ্রেনীর আরাধ্য দেবী। কয়েকশ বছর আগে বাংলার গন্ধবণিকরা এই দেবীর পূজা প্রচলন করেন বাণিজ্যে শ্রীবৃদ্ধির জন্য।

প্রাচীনকালে বাংলার বণিকরা ময়ূরপঙ্খি ভাসিয়ে নদীপথে চলতেন বাণিজ্যে। পথে যেমন ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা ইত্যাদি আশাঙ্কা ছিলো- তেমনি ডাকাত, বন্য জীব জন্তুর ভয় ছিলো। সমস্ত ভয় সমস্ত দুর্গতি থেকে মা গন্ধেশ্বরী রক্ষা জোড়বেন, এই আশায় বণিক শ্রেনী দেবীর আরাধনা করেন ।

গন্ধেশ্বরী পূজার পেছনে একটি লৌকিক কাহিনি আছে। সেই সময় গন্ধাসুর নামক এক ডাকাত প্রায়শঃই বণিকদের ধন সম্পত্তি লুঠ করতো। তাই বণিকশ্রেনী মা গন্ধেশ্বরীর পূজা শুরু করে। মা গন্ধেশ্বরী এই ডাকাতকে বধ করলে বণিকেরা নির্ভয়ে যাত্রা করতে পারতো।

মা গন্ধেশ্বরী নানা অলঙ্কার ধারন করেন- যা এই বাণিজ্য মারফৎ উৎকর্ষ বা শ্রীবৃদ্ধির প্রতীক । দেবী মরকত বর্না। তপ্তকাঞ্চন ও মরকতের বর্ণ এক। অর্থাৎ বাণিজ্য দ্বারা বণিক শ্রেনীর উন্নতি তথা সম্পত্তি প্রাপ্তির প্রতীক । দেবী মহাশক্তিধারিণী তাই বলশালী সিংহ দেবীর বাহন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen