বুধবার গণেশ চতুর্থী, কুমোরটুলিতে তুঙ্গে ব্যস্ততা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৩৩: জগন্নাথের বেশে গণেশ, আবার কোথাও ময়ূরের পালক ধার করে পরেছেন গণেশ, কোথাও ব্যবসায়ী শেঠের মতো মাথায় পাগড়ি পরেছেন, আবার বাঘছাল পরে ভুঁড়ি বাগিয়েছেন, নানা রূপে গণেশের মূর্তি বিক্রি হচ্ছে কুমোরটুলিতে। পুজো কমিটির লোকজন আসা শুরু করেছেন। বুধবার গণেশ চতুর্থী। তুঙ্গে কুমোরটুলির ব্যস্ততা।
এখন বাংলাতেও গণেশ পুজো কম হয় না। মূর্তি তৈরির তুমুল ব্যস্ততা চলছে কুমোরপাড়াগুলিতে। প্রবল বৃষ্টির জেরে গণেশের মূর্তি তৈরির কাজ কিছুটা ধাক্কা খেলেও, এখন সব তৈরি। গণেশ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এরপর বিশ্বকর্মা পুজো, তারপরই দুর্গার আগমন। কলকাতার কুমোরটুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। রবীন্দ্র সরণি, কুমোরটুলি স্ট্রিট, বনমালি সরকার স্ট্রিট সহ বহু এলাকায় মৃৎশিল্পীদের ঘরে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, আগের তুলনায় সিদ্ধিদাতার আরাধনা বেড়েছে। ছোট, মাঝারি‑বড় মিলিয়ে বিভিন্ন সাইজের গণেশ বিক্রি হচ্ছে। ৮০০ থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকা দামেরও গণেশ বিক্রি হচ্ছে কুমোরটুলিতে। কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংগঠনের দাবি, হাজার থেকে দু’হাজার টাকার গণেশ বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাগড়ি পরা গণেশের চাহিদাই বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজাইনের গণেশ তৈরি হয়েছে। কুমোরটুলিতে যেমন গণেশ কেনার ভিড়। তেমনই বেড়েছে মোদকের চাহিদাও। মোদকই নাকি গণেশ ঠাকুরের সবথেকে প্রিয় খাবার। ফলে কলকাতার মিষ্টির দোকানগুলো দেদার বিক্রি হয় মোদক। সব মিলিয়ে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবের আগে গণপতি আধারণার তুঙ্গে বাণিজ্য।