ভাঙনের জেরে বদলে যাচ্ছে মালদা-মুর্শিদাবাদ, উদাসীন কেন্দ্র
২০০৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ২৫ হাজার বিঘা জমি তলিয়ে গেছে জলের তলায়। ভেসে গেছে মালদহের ২১৮টি গ্রাম। অস্তিত্ব নেই মুর্শিদাবাদের ১৯৫টি গ্রামের।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২.০০: ২০০৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ২৫ হাজার বিঘা জমি তলিয়ে গেছে জলের তলায়। ভেসে গেছে মালদহের ২১৮টি গ্রাম। অস্তিত্ব নেই মুর্শিদাবাদের ১৯৫টি গ্রামের।
ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকায় ৩ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে ভাগীরথী-গঙ্গা। রতুয়া-১ ব্লকে ফুলহার ও কোশী এই দুই জায়গার মধ্যে দূরত্ব কমে ঠেকেছে ৭০০ মিটারে। যে কোনও সময় এই নদী একসঙ্গে চলে এলে আরও বাড়বে বিপদ। তবে এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নেই কোনো হেলদোল।
তথ্য বলছে ফারাক্কা ব্যারেজকে শেষ বার টাকা দেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালের ১৯ মার্চ মাসে, তাও মাত্র ৯৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ভাঙ্গন নিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ও ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীকে দুই বার চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরপর বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ডের প্রতিনিধিরা গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশন, সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন ও ফারাক্কা ব্যারেজ অথরিটির সঙ্গে বৈঠক করে। ২০২৪ সালে ১৫৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে জানায় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন। যদিও সেই টাকার মুখ এখনও দেখেনি বাংলা। কারণ, গঙ্গার ভাঙ্গনে ভেসে যাওয়া বাঙালির জন্য অত সময় নেই, বদলে এখন বিরোধী ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙ্গনে ব্যস্ত বিজেপি।