গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে সাজ সাজ রব, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে প্রশাসনের ঢালাও আয়োজন
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:৩০: আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম সামলাতে এবং মেলা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্য প্রশাসন। কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মেলা প্রাঙ্গণ ও সংলগ্ন এলাকা সাজিয়ে তোলার গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের (PHE) উপর। ইতিমধ্যেই দপ্তরের আধিকারিকদের বিশেষ দল গঙ্গাসাগরে পৌঁছে গিয়েছে এবং জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে তাকিয়ে পানীয় জল, পর্যাপ্ত শৌচালয় এবং উন্নত নিকাশি ব্যবস্থার মতো পরিকাঠামোগত বিষয়গুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার (Bankim Chandra Hazra) দপ্তর থেকেও মেলার বিভিন্ন প্রস্তুতির কাজ নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুণ্যার্থীদের যাতায়াত মসৃণ করতে সাগর দ্বীপে প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতি ও সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মেলায় অত্যধিক ভিড়ের চাপ সামাল দিতে বিকল্প বন্দোবস্ত হিসেবে সাগরতট সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হচ্ছে বেশ কয়েকটি ছোট রাস্তা। এই পুরো কর্মযজ্ঞের দায়িত্বে রয়েছে গঙ্গাসাগর–বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ।
মেলা চলাকালীন যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখা প্রশাসনের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কথা মাথায় রেখেই লট-৮, বেণুবন এবং কচুবেড়িয়া জেটি ঘাটগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, ভিড় বাড়লে পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক অস্থায়ী জেটি তৈরি করা হচ্ছে, যা শুধুমাত্র মেলার দিনগুলিতে চালু থাকবে।
অন্যদিকে, কপিলমুনি মন্দির চত্বরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যানজট এড়াতে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি নতুন বাস স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনের আশা, এর ফলে যাত্রী ওঠানামা এবং বাস চলাচল অনেক বেশি সুশৃঙ্খল হবে। এছাড়া যাত্রাপথ নিরাপদ করতে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার প্রস্তাব মেনে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলির মেরামতির কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। সব মিলিয়ে, আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা নির্বিঘ্ন করতে চেষ্টার কোনও কসুর রাখছে না প্রশাসন।