জঙ্গলমহলে নব্য বিজেপিদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামল আদিরা

সোমবার অজিত মুর্ম্মুর ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে, হাতে ফেস্টুন সহযোগে রানিবাঁধ বাজারে ওই জায়গায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা।

February 2, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘অজিত মুর্ম্মুর খুনীদের দল থেকে বহিস্কারে’র দাবিতে এবার আন্দোলনে নামলেন বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সোমবার অজিত মুর্ম্মুর ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে, হাতে ফেস্টুন সহযোগে রানিবাঁধ বাজারে ওই জায়গায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রানিবাঁধে খুন হন বিজেপি কর্মী অজিত মুর্ম্মু। এই ঘটনায় সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলে বিজেপি। কিছু দিন আগে ঐ এলাকার ‘বিক্ষুব্ধ’ তৃণমূল নেতা ও খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত মিত্র মেদিনীপুর কলেজ মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সভায় ও অতি সম্প্রতি বিদ্যুৎ দাস কলকাতায় গিয়ে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকেই তাদের দলে না নেওয়ার দাবিতে সরব হন রানীবাঁধের বিজেপি নেতা কর্মীদের একাংশ।

এদিন ওই বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিহত অজিত মুর্ম্মুর স্ত্রী উর্ম্মিলা মুর্ম্মু বলেন, যে বিদ্যুৎ দাস তৃণমূলে থাকাকালীন আমার স্বামী খুন হয়েছেন, সেই বিদ্যুৎ দাস এখন বিজেপিতে। আমরা ওনাকে আমাদের দলে চাই না। অবিলম্বে বিদ্যুৎ দাসকে দলকে বহিস্কার না করলে আগামী বুধবার দলের রাজ্য দফতরে গিয়ে ধর্নায় বসবেন বলে তিনি জানান।

দলে নবাগত বিদ্যুৎ দাস ও জয়ন্ত মিত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি নেতা কৌশিক মুদি বলেন, অজিত মুর্ম্মু খুন থেকে অসংখ্য দলীয় কর্মীর নামে অজস্র মিথ্যা মামলা দিয়েছে শাসক তৃণমূল (Trinamool)। নেতৃত্বে জয়ন্ত মিত্র ও বিদ্যুৎ দাস। অবিলম্বে এই দু’জনকে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে বহিস্কার না করলে তারা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এরপরেই এই দুই নেতাকে বহিস্কার করা না হলে অজিত মুর্ম্মুর স্ত্রী উর্ম্মিলা মূর্ম্মু দল থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও তিনি জানান।

এবিষয়ে এক সময়ে জঙ্গল মহলের ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতা, ও বর্তমানে নব্য বিজেপি নেতা জয়ন্ত মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এক মাস বারো দিন আগে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমি দলের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার ও জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের নির্দেশে কাজ করে যেতে চাই। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এর বেশি কিছু তাঁর বলার নেই বলেই তিনি জানান।

পুরো বিষয়টিকে ‘জঙ্গল মহলে বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ বলে দাবি শাসক দলের। দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ এখন আর ঘরের মধ্যে নেই। রাস্তায় নেমে আগুন জ্বালাতে শুরু করেছে। এই ঘটনাই প্রমাণ করে বিজেপি কত ভয়ঙ্কর, দাবি তাঁর।

লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen