বাঙালির পার্টি বঙ্গ বিজেপি, প্রমাণে মরিয়া চেষ্টা গেরুয়া শিবির

বাংলার রাজনৈতিক পরিসরে প্রথম থেকেই বিজেপিকে হিন্দি বলয়ের পার্টি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি।

June 28, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

বঙ্গ বিজেপি বাঙালির পার্টি, তা প্রমাণে মরিয়া গেরুয়া শিবির। বাংলার রাজনৈতিক পরিসরে প্রথম থেকেই বিজেপিকে হিন্দি বলয়ের পার্টি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। কয়েক দশক ধরে যার খেসারত চোকাতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে বাংলায় গেরুয়া ঝড় বইতে শুরু করে। গত লোকসভা ভোটে বিজেপির ঝুলিতে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। অনুকূল পরিবেশ উপলব্ধি করে পার্টিতে বেশি করে বাঙালি মুখ এনে অবাঙালিদের বাদ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সদ্যগঠিত রাজ্য কমিটি থেকে তিনজন অবাঙালি পদাধিকারীকে বাদ‌ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা হলেন রাজকুমারী কেশরী, মনোজ টিগ্গা ও বিজয় ওঝা। এঁরা প্রত্যেকেই বঙ্গ বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদক পদে ছিলেন।

শুধু তাই নয়, মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এই মুহূর্তে বিধানসভায় বিজেপির দলনেতা। অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভায় দীর্ঘদিনের এবং বিজেপির বর্তমান কাউন্সিলর বিজয় ওঝা। পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতি যেখান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, সেই কলকাতা সাংগঠনিক জেলাতেও আগে অবাঙালিদের প্রাধান্য ছিল। শুক্রবার বিজেপির দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার দুই অবাঙালি সভাপতিকে সরিয়ে বাঙালি মুখ আনা হয়েছে। উত্তর কলকাতায় দীনেশ পাণ্ডের পরিবর্তে সভাপতি করা হয়েছে শিবাজী সিংহ রায়কে। দক্ষিণ কলকাতায় মোহন রাওয়ের জায়গায় সভাপতি করা হয়েছে সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সব মিলিয়ে উঁচু থেকে নিচুতলার নেতৃত্বে বাঙালিদের প্রাধান্য দিচ্ছে বিজেপি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত। সাম্প্রতিক অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভাষণে বারবার বাঙালি আবেগ উসকে তোলার চেষ্টা নজরে এসেছে। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলার উর্বর মাটিতে পদ্ম চাষ করতে নেমেছেন দিলীপ ঘোষেরা। এই লগ্নি কতটা ফলপ্রসূ হল, পরবর্তী ভোটের ফলাফলই তা জানান দেবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen