ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জমি জট কাটছে
ঘাটাল মাস্টার প্লানের গুরুত্বপুর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল ঘাটাল শহরের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর মৌজাতে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত করতে জমি দিতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এগিয়ে এলেন জমির মালিকরা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বদ্ধপরিকর রাজ্য। রাজ্য বাজেটে প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। সোমবার থেকে শুরু হল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রুপায়নের জন্য জমি কেনার কাজ। ঘাটাল মাস্টার প্লানের গুরুত্বপুর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল ঘাটাল শহরের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর মৌজাতে। এখানে ১২১ জন রায়তের থেকে প্রায় দুই একর জমি ক্রয় করা হবে। ১৪ জন কৃষক সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর করলেন। উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, এসডিপিও অনিমেষ সিংহ রায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আশীষ হুদাইত, ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান তুহিন কান্তি বেরা সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অঙ্গ হিসেবে শিলাবতী নদী সংলগ্ন এলাকায় দু’টি পাম্প হাউস বসানোর কথা রয়েছে। তার মধ্যে ঘাটাল শহরের ১৭ ওয়ার্ড গোবিন্দপুরে, অন্যটি শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরামপুরে। শ্রীরামপুরে পাম্প হাউস বসানোর জন্য প্রায় দু’একর জমির প্রয়োজন। এদিন জমির মালিকদের সামনা-সামনি উপস্থিত হয়ে তাঁদের সম্মতি নেওয়ার কথা ছিল। সেদিন শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসক, আশিসবাবু, ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহকারী সভাপতি তথা ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপকুমার মাজি প্রমুখ গিয়েছিলেন। মহকুমা শাসক বলেন, প্রায় দু’একর জমির মধ্যে ১২১ জন রায়ত ছিলেন। তারমধ্যে এদিন ৪০ জনকে ডাকা হয়েছিল। ১৪ জন সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। বাকিদের স্বাক্ষর করার জন্য কাগজপত্র কাউন্সিলারকে দিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদেরও সম্মতিপত্র খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে প্রশাসন আশা করছে।
আশিসবাবু বলেন, জমির মালিকদের নিয়মমাফিক টাকা দিয়েই জমি কেনা হবে। জমি, বাড়ি ও দোকানের মূল্য নির্ধারণ করবে প্রশাসনই। শ্রীরামপুরে ওই পাম্প বসানোর জায়গাতে কয়েকটি দোকান রয়েছে। পাম্প হাউস হলে দোকানগুলিও সরাতে হবে। এনিয়ে পুরসভাকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলা হয়েছে।