গিলগিট–বালটিস্তানকে পাকিস্তানের ‘‌প্রদেশ’ হিসেবে‌ ঘোষণা ইমরানের, বিতর্ক

১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, গিলগিট–বালটিস্তান ভারতের (India) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু–কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

November 2, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ফের একবার সম্মুখ সমরে ভারত–পাকিস্তান দুই দেশ। এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু পাক অধিকৃত গিলগিট- বালটিস্তান। ঘরে–বাইরে প্রতিবাদ সত্ত্বেও কার্যত চিনের অঙ্গুলিহেলনে গিলগিট–বালটিস্তানকে (Gilgit-Baltistan) বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কথা রবিবার ঘোষণা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের ‘পঞ্চম প্রদেশ’ হিসেবে এটিকে ঘোষণা করা হল।

ইমরানের এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিবাদে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট জানালেন, ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, গিলগিট–বালটিস্তান ভারতের (India) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু–কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জোর করে দখল করে রাখা এই অঞ্চলের কোনও কিছু পরিবর্তন করার অধিকার নেই পাকিস্তান সরকারের।

সাংবাদিক সম্মেলনে এসে অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‌‘জোর করে এবং অন্যায়ভাবে ভারতের যে যে অংশ পাকিস্তান দখল করে রয়েছে, সেখানে কোনওপ্রকার পরিবর্তন ভারত সরকার সমর্থন করে না। ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, গিলগিট–বালটিস্তান ভারতের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জম্মু–কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জোর করে দখল করে রাখা এই অঞ্চলের কোনও কিছু পরিবর্তন করার অধিকার নেই পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের।‌ এ ধরনের কাজ আসলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। পাশাপাশি এটা প্রমাণ করে, কীভাবে ৭০ বছর ধরে একটি অঞ্চলের মানুষদের স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে পাকিস্তান। ভারতের যে জায়গাগুলো পাকিস্তান দখল করে রয়েছে, সেগুলোকে নিজেদের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে ইসলামাবাদের উচিত অবিলম্বে সেখান থেকে সরে যাওয়া।’‌’

এদিন ইমরান খান গিলগিট–বালটিস্তানকে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করে শিলান্যাস করলেন একাধিক প্রকল্পের। দেশের অভ্যন্তরের বিক্ষোভ বা ভারতের প্রতিবাদ, কোনও কিছু কানে না তুলে মূলত পাক সেনাবাহিনী এবং চিনের (China) পরামর্শে তাঁর এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ। ইমরান খান মুখে যাই বলুন না কেন, তিনি যে আদতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ‘হাতের পুতুল’, এদিনের ঘোষণা ফের সেটাই প্রমাণ করল। এছাড়া বাণিজ্যের জন্য এই অংশে স্থিতাবস্থা প্রয়োজন ছিল চিনেরও। কূটনীতিকদের মতে, এর পিছনে তাই অনেক বেশি হাত রয়েছে বেজিংয়েরই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen