সর্বমঙ্গলা মন্দিরের দেবীই দুর্গা রূপে পুজো পান শরতে

মন্দিরে মা শীতলা, মা চণ্ডীর পাশাপাশি কালী ও রক্তাবতীর পুজো হয়। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত মা দুর্গার বিশেষ পুজো হয়।

October 3, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নাচিন্দা মন্দির ও সরপাই সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পুজো খুবই জনপ্রিয়। শতাধিক বছরের প্রাচীন নাচিন্দার শ্রীশ্রী শীতলা ও চণ্ডীঠাকুরানির মন্দিরে মা চণ্ডী দুর্গারূপে পুজিতা হন। মন্দিরে মা শীতলা, মা চণ্ডীর পাশাপাশি কালী ও রক্তাবতীর পুজো হয়। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত মা দুর্গার বিশেষ পুজো হয়। পুজোকে কেন্দ্র করে মন্দির চত্বরে বসে মেলা। এখানে মহাসপ্তমীতে বোধন হয়।

সরপাইতে শতাধিক বছরের প্রাচীন সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পুজোকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনশ্রুতি রয়েছে, কুমীরের পিঠে চড়ে খাল থেকে খাঁড়ি হয়ে জঙ্গলের মধ্যে মা সর্বমঙ্গলার আর্ভিভাব হয়েছিল। সর্বমঙ্গলাই মা দুর্গারূপে পূজিতা হন। এখানে দুর্গার মূর্তিতে পুজো হয় না। সরপাই ছিল জঙ্গলময়। সর্বমঙ্গলা মা শীতলার আরেক রূপ। জনশ্রুতি অনুযায়ী, নাচিন্দার ঐতিহ্যবাহী শীতলা ও চণ্ডীঠাকুরানি মন্দিরের পুরোহিতকে একদিন সর্বমঙ্গলা স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, সরপাই এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে তাঁর মূর্তি রয়েছে। স্বপ্নে মা তাঁকে মূর্তি উদ্ধার করে পুজো করার নির্দেশ দেন।

দেবী পুরোহিতকে স্বপ্নেই জানান, কুমীরের পিঠে চড়ে খাল থেকে খাঁড়ি ধরে জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করেছেন। এরপর পুরোহিত খাঁড়িতে কুমীরের পায়ের ছাপ ও জঙ্গলে মায়ের মূর্তি দেখতে পান। সেই পুরোহিতের উদ্যোগেই মায়ের পুজো শুরু হয়। পরবর্তীকালে জঙ্গল পরিষ্কার করে মাটির মন্দির তৈরি হয়। বহুকাল মাটির মন্দিরই ছিল। গ্রামবাসীদের উদ্যোগে মন্দির পরে পাকা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার পুজো হয়। শারদোৎসবের সময় সর্বমঙ্গলা দুর্গারূপে পুজিতা হন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen