পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরেই সোনার হাব

সম্প্রতি খড়্গপুরের প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘাটাল-দাসপুরে সোনার হাব গড়ার কথা ঘোষণা করেন।

November 15, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
সংগৃহীত চিত্র

ঘাটালে নয়। দাসপুরেই গড়ে উঠবে সোনার হাব (Gold hub)। দাসপুরের প্রাথমিক ভাবে সোনার হাবের জন্য জমি চিহ্নিত হয়েছে। জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জোরকদমে চলছে প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির কাজ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা জেলা ভূমিও ভূমি সংস্কার আধিকারিক তুষার শ্রীংলা বলেন, “দাসপুর-২ ব্লকের ফরিদপুরে সোনার হাবের জমি চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে হাব তৈরির যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” জেলা শিল্প আধিকারিক দেবব্রত রায় বলেন, “জমি পাওয়া গিয়েছে। নিয়ম মেনে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

সম্প্রতি খড়্গপুরের প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘাটাল-দাসপুরে সোনার হাব গড়ার কথা ঘোষণা করেন। জেলা প্রশাসনকে হাব তৈরির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। এর পরই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন জমি পরিদর্শনের কাজ শুরু করে। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে দাসপুর-২ ব্লকের চাঁইপাট এলাকার ফরিদপুরে একটি সরকারি জমি চিহ্নিত হয়েছে। জমির পরিমাণ প্রায় দু’একর। প্রস্তাবিত সোনার হাবের জন্য ঘাটালে এসেও জমি  দেখে গিয়েছিলেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। ঘাটাল শহরে নির্মীয়মাণ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি জমি প্রাথমিকভাবে দেখেছিলেন। তবে ঘাটালের ওই খুব নীচু। বন্যায় ওই জমি বহুদিন জলের তলায় থাকে। ফলে সেখানে হাব তৈরি হলে মাটি ফেলে উঁচু করতেই কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হবে। সেই তুলনায় দাসপুরের ওই জমি সোনার হাবের জন্য সবদিক দিয়ে উপযুক্ত। রাস্তা-সহ পরিকাঠামোগত অন্যান্য সুযোগ সুবিধেও রয়েছে। হাবের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরাও জমি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তাছাড়া জমিটিও সরকারের। হস্তান্তরের কোনও সমস্যা হবে না। এ ছাড়া কাজ করছে আরেকটি বিষয়। যাঁদের কথা ভেবে এই পরিকল্পনা সেই সোনার কারিগরদের একটা বড় অংশেরই বসবাস দাসপুর (Daspur) জুড়ে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের খবর, হাব হলে উৎপাদন এবং বাজার দুই পরিকাঠামো গড়ে উঠবে। সেখানে স্থানীয় দক্ষ শিল্পীদের কাজের সুযোগ বাড়বে। বিনিয়োগ বাড়বে। প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এখানকার শিল্পীদের তখন আর বাইরের উপর নির্ভর করতে হবে না। স্থানীয় বাজারে কাজের সুযোগ তৈরি হলে বহু বেকার ছেলেদের স্বর্ণ শিল্পে কাজ করার প্রবণতা তৈরি হবে। মিটবে বেকার সমস্যাও। দাসপুর-২বিডিও অনিবার্ণ সাহু বলেন, “জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।” 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen