‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পে খাস জমিতে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের

এক শতক জমির উপর বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

March 26, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

রাজ্যের ভূমিহীন পরিবারগুলিকেও খাস জমি পাট্টা দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। ‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পে সেই বাড়ি তৈরি হবে। এক শতক জমির উপর বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমিতে বসবাস করছেন, তাঁদের পাট্টা দেওয়া হবে। তবে পূর্ত,রেল, হাসপাতাল সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের জায়গায় বসবাসকারীরাএই সুবিধা পাবেন না। জমি চিহ্নিত করে সিদ্ধান্ত নেবেন সরকারি আধিকারিকরা। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা, ‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পে আমাদের জেলায় পাট্টা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২হাজার ৭৩২জনকে খাস জমিতে পাট্টা দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। তারমধ্যে ৪১জনের জমি চিহ্নিত হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বহু পরিবারের পাকাপোক্ত বাড়ি নেই। সরকারি জমিতে মাটির ঘরে তাঁরা বসাবাস করেন। নিজেদের নামে জমি থাকার জন্য তাঁরা বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পান না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে আগ্রহী, তাঁদের প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। তারপর জমি দেখে আধিকারিকরা পাট্টা দেবেন। আবেদনকারী যেখানে বসবাস করছেন, সেখানে খাস জমি না থাকলে তাঁকে অন্যত্র দেওয়া হবে।

প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অনেক পরিবার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে পূর্তদপ্তরের জায়গায় বাড়ি করে রয়েছেন। তাঁদের দূরে খাসজমিতে আইনি অধিকার দেওয়ার জন্য পাট্টা দিতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা তা নিতে চাইছেন না। তাঁরা রাস্তার পাশেই অস্থায়ী বাড়িতেই থাকতে চাইছেন। খাস জমিতে বসবাস করছেন এমন আবেদনকারীকে এক লক্ষ ২০হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। বাড়ি তৈরির জন্য এনআরজিএ প্রকল্পে ৯০দিনের শ্রমিকের মজুরি দেওয়া হবে। তিন ধাপে টাকা দেওয়া হবে। টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে যাবে।

প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যে সমস্ত পরিবারের বার্ষিক আয় এক লক্ষ টাকার নীচে, তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। আবেদনকারীকে এরাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে। তাঁদের ভোটার ও আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। আরএক আধিকারিক বলেন, কোন জমিতে পাট্টা দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসনই। হঠাৎ করে কেউ জমি জবরদখল করলে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen