গুলেন বারি সিন্ড্রোম আতঙ্ক! এই সময় কী খাবেন আর কী খাবেন না?

বিশেষত রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া কাটা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতেই বলছেন তাঁরা। যেকোনও জায়গা থেকে জল পান করতেও বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

January 31, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গুলেন বারি সিন্ড্রোম (জিবিএস একটি অটো ইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেই স্নায়ুগুলিকে আক্রমণ করে, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি পক্ষাঘাতগ্রস্তও হয়ে যেতে পারেন। তবে এটি সংক্রামক ব্যাধি নয়, অর্থাৎ এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়ায় না।

চিকিৎসকদের মতে, শ্বাসনালি বা পাচনতন্ত্রের সংক্রমণের পর গুলেন বারি সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত, ‘ক্যাম্পিলোব্যাক্টর জেজুনি’ নামে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া এই রোগের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এটি দূষিত জল ও খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

এই সময় একেবারেই বাইরের খাবার খাবেন না। বিশেষত রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া কাটা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতেই বলছেন তাঁরা। যেকোনও জায়গা থেকে জল পান করতেও বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার কারও কারও মতে, এই সময় পনীর, চিজ জাতীয় দুধজাত খাওয়াদাবার না খাওয়াই ভালো। ভাতও বেশি না খাওয়ার কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়া প্যাকেটজাত মাছ, মাংস জাতীয় খাবারদাবারও এই সময় কম খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গুলেন বারি সিনড্রোম বা জিবিএসের কামড় থেকে বাঁচতে অবশ্যই হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। শুধু তাই নয়, জনবহুল এলাকায় যাতায়াতের সময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও গুলেন বারি সিনড্রোম ছোঁয়াচে নয়। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ থেকে এই রোগ অন্যের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। তবে তা সত্ত্বেও সামান্য উপসর্গ দেখলে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ফোটানো ও বিশুদ্ধ জল – দূষিত জল এই রোগের অন্যতম কারণ, তাই ফিল্টার করা বা সিদ্ধ জল পান করুন। ভালভাবে রান্না করা মাংস ও মাছ – বিশেষ করে মুরগির মাংস ভালভাবে সিদ্ধ বা ভেজে খাওয়া উচিত, যাতে কোনও ব্যাক্টেরিয়া বেঁচে না থাকে। পাস্তুরাইজড দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার – কাঁচা বা অপরিশোধিত দুধ এড়িয়ে ফোটানো বা প্যাকেটজাত দুধ পান করুন। হালকা ও সহজপাচ্য খাবার – যেমন সেদ্ধ ডাল, খিচুড়ি, সবজি ও সেদ্ধ ভাত, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ভিটামিন C ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার – প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লেবু, আমলকি, কমলা লেবু, পালংশাক, বাদাম ও ডিম খেতে পারেন। প্রোবায়োটিক ও ফারমেন্টেড খাবার – যেমন দই ও ঘোল, যা হজমে সহায়ক ও উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen