পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার মোদী-শাহের গুজরাতের সরকারি কর্মী

কচ্ছের লাখপত ব্লকের বাসিন্দা তিনি। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি এবং ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ভাইটাল ইনস্টলেশন তথ্য, ভিডিও পাচার করেছেন তিনি।

May 25, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:১২: ইউটিউবার থেকে পড়ুয়া, ব্যবসায়ী বিগত ১৫ দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক সন্দেহভাজন পাকিস্তানি স্পাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খোদ মোদী ও শাহের রাজ্য গুজরাত রাজ্য যুক্ত হল পাকিস্তানের স্পাই নেটওয়ার্কে। গ্রেপ্তার হল গুজরাত সরকারের স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল। কচ্ছের লাখপত ব্লকের বাসিন্দা তিনি। অভিযোগ, পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি এবং ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ভাইটাল ইনস্টলেশন বা গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগুলির তথ্য, ভিডিও পাচার করেছেন তিনি।

সহদেব গুজরাতের স্বাস্থ্যদপ্তরে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মরত। কচ্ছ সীমান্ত এলাকায় তার ডিউটি। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ বা সামরিক বিভাগের সক্রিয়তা, তৎপরতা হোক বা যেকোনও নতুন পরিকাঠামো নির্মাণের সাক্ষী সহদেব। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে লাখপত ব্লকের মাড় গ্রামে অভিযুক্তের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে অদিতি। গুজরাত পুলিসের দাবি, ভুল করে বা অজ্ঞাতে নয়, সহদেব জেনেশুনেই তথ্য পাচারের কাজ করেছে। অদিতি পাকিস্তানি স্পা‌ই, এটা সহদেব জানত। তথ্য‌ জানতে তাকে জেরা করছে পুলিসহ।

ভারতে থাকা স্পাইদের হোয়াটসঅ্যাপ সরাসরি নিজেদের মোবাইল থেকে অপারেট করতে পারছে আইএসআই। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সহদেব একটি নতুন মোবাইল কেনে। সিম কার্ড নেওয়ার সময় সে আধারের ওটিপি শেয়ার করে অদিতিকে। তারপর থেকে ওই দ্বিতীয় মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্ক আইএসআই হ্যান্ডলারের মোবাইলেও সক্রিয়। সীমান্ত এলাকায় যাতায়াত ও থাকার সুযোগকে হাতিয়ার করে বিএসএফ ও সামরিক বাহিনীর মুভমেন্ট, কোনও নতুন তৎপরতা, পরিকাঠামো নির্মাণ, সমরসজ্জার সক্রিয়তা ইত্যাদির ছবি ও ভিডিও করে পাঠাত অভিযুক্ত। এমনকী অপারেশন সিন্দুরের পরও সে তাই করেছে। এতেই প্রশ্ন উঠছে, কত পাকিস্তানের স্পাই লুকিয়ে আছে? প্রশ্ন উঠছে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ব্যর্থতা নিয়েও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen