কলকাতার নেতাজি ভবনে গিয়েছেন কখনও?
১৯৪১ সালে ব্রিটিশ সরকার-কর্তৃক গৃহবন্দী থাকার সময় সুভাষচন্দ্র বসু এই বাড়ি থেকেই বার্লিনে পালিয়ে যান।

নেতাজি ভবন হল কলকাতায় অবস্থিত একটি স্মারক ভবন ও গবেষণা কেন্দ্র। এখানে সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা চলে। ১৯০৯ সালে সুভাষচন্দ্রের বাবা জানকীনাথ বসু এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো এই বাড়িটির মালিক।
এখানে একটি জাদুঘর, মহাফেজখানা এবং একটি গ্রন্থাগার রয়ছে। সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো শিশিরকুমার বসুর পুত্র সুগত বসু নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো পরিচালনা করেন। ভবানীপুরে লালা লাজপত রায় রোডে এই বাড়িটি অবস্থিত। ভবানীপুর অঞ্চলের কলকাতা মেট্রো স্টেশনটির নাম এই বাড়ির নামানুসারে “নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশন” রাখা হয়েছে।
১৯৪১ সালে ব্রিটিশ সরকার-কর্তৃক গৃহবন্দী থাকার সময় সুভাষচন্দ্র বসু এই বাড়ি থেকেই বার্লিনে পালিয়ে যান। এরপর তিনি (জার্মান ইউ-বোট ইউ-১৮০ এবং জাপানী সাবমেরিন আই-২৯ এ) জাপান-অধিকৃত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এসে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন এবং জাপান সাম্রাজ্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরু নেতাজি ভবন পরিদর্শনে এসেছিলেন। ২০০৭ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এই ভবন পরিদর্শন করেন। নেতাজি ভবন জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৭ সালে। এই ভবনের জাদুঘরে সুভাষচন্দ্র বসুর পায়ের ছাপ রাখা আছে।