মিটার রিডিং না নিয়ে কেন তৈরি হল গড় বিল?- কলকাতা হাই কোর্ট

গোটা বিষয়টি নিয়ে সিইএসসিকে হলফনামা দায়ের‌ করে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ আগস্ট।

July 28, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

লকডাউন চলাকালীন বিদ্যুতের ‘মাত্রাতিরিক্ত’ বিল নিয়ে এবার CESC’র কাছে জবাব তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। লকডাউনের সময় মিটার রিডিং না নিয়ে কীভাবে গড় বিল তৈরি করা হয়েছে, তা নিয়ে ওই বেসরকারি বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানিকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

লকডাউন চলাকালীন CESC’র তরফে জারি করা বিদ্যুতের বিলগুলি (রিডিংয়ের পরিবর্তে গড়ে) বাতিল করা হোক। এই বক্তব্য-সহ একাধিক দাবিতে রজনীশ কলাবতী নামে এক ব্যক্তি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলার শুনানিতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, মিটার রিডিং না নিয়ে কোন তথ্যের ভিত্তিতে ৪ মাসের গড় বিল পাঠানো হয়েছে? তিনি দাবি করেছেন, ৬ মে কর্তৃপক্ষ ওই কোম্পানিকে গড় বিল তৈরির অনুমতি দেয়। কিন্তু তার আগের দু’মাস কিসের ভিত্তিতে গড় বিল তৈরি করা হল। যদি মে মাসে এই অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে আগের মাসগুলি থেকে তা কেন কার্যকর করা হল? এছাড়াও বিদ্যুতের বর্ধিত মাশুলের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন মামলাকারী। তাঁর আরও অভিযোগ, গ্রাহকদের মোবাইলে যে বিল পাঠানো হয়েছে তাতে কোনও পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিল তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে সিইএসসিকে হলফনামা দায়ের‌ করে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ আগস্ট।

যদিও এর আগেই রাজ্যের চাপে পিছু হটতে বাধ্য হয় CESC। জানানো হয়, গত দু’মাসের বকেয়া বিদ্যুতের ইউনিটের টাকা আপাতত মেটাতে হবে না গ্রাহকদের। তারপরই বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় টুইট করেন। তিনি লিখেছিলেন, “আমি CESC’র উপর চাপ সৃষ্টি করি। ওদের কোনও যুক্তিতেই আমি খুশি হইনি। মিটিংও ডেকেছিলাম। রাজ্য ও রাজ্যবাসীর চাপের কাছে নতিস্বীকার করল CESC। নিশ্চিতভাবে এটা মানুষের পক্ষে আনন্দায়ক খবর।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen