রাজ্যজুড়ে ২৮টি ‘টেলিমেডিসিন হাব’ চালু করতে চলেছে স্বাস্থ্যদপ্তর

করোনা পরিস্থিতি কতদিন চলবে, আন্দাজ করা খুব কঠিন। নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেজন্য যাতে অবহেলিত না হয়, এই হাব করা জরুরি।

July 8, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ডাক্তার কম। রোগী বাড়ছে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য বছর কয়েক আগে যা করে সাফল্য পেয়েছিল, রাজ্যজুড়ে সেই ‘টেলিমেডিসিন হাব’ (telemedicine hubs) চালু করতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।

রাজ্যজুড়ে তৈরি হতে চলেছে টেলিমেডিসিন হাব। জেলা এবং স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে ২৮টি জায়গায় তৈরি হতে চলেছে এই হাব। এজন্য ৬৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। কমিউনিটি হেলথ অফিসার বা সিএইচও’রা এএনএম-এর সহযোগিতায় চালাবেন এইসব ‘হাব’। মহকুমা ও জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে অনলাইনে সংযোগ করে তাঁদের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানের রোগী দেখা হবে। মূলত সুগার, প্রেশার ইত্যাদি অ-সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে পরিষেবা কাজে লাগানো হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, টেলিমেডিসিনই ভবিষ্যতের চিকিৎসা। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি কতদিন চলবে, আন্দাজ করা খুব কঠিন। নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেজন্য যাতে অবহেলিত না হয়, এই হাব করা জরুরি।

এদিকে স্বাস্থ্য কমিশন (Health Department) এদিন দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালের বিরুদ্ধে সৌমী পাত্র নামে এক অভিযোগকারিণীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে। তাঁর বাবা ডাঃ অসিতকুমার পাত্রকে মাত্র পাঁচদিন হাসপাতালে রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড প্যাকেজে তিন লক্ষ টাকা বিল নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। অথচ রোগীকে সেখান থেকে ছুটি দেওয়ার পর আরও বেশ কিছুদিন অন্য হাসপাতালে রাখতে হয়। রোগী মাত্র পাঁচদিনে কোভিডমুক্ত হয়েছেন দাবি করা হলেও তিনি আসলে করোনামুক্ত হননি। এমনই অভিযোগ ছিল সৌমীদেবীর। শুনানি চলাকালীন ঘটনার জন্য এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দু’পক্ষ তাতে রাজি হয়। বিলে অসঙ্গতির জন্য হেলথ পয়েন্ট নার্সিংহোমকে একটি ঘটনায় ৬১ হাজার ৫২৯ টাকা বিল কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। সোনালি ভক্ত নামে অভিযোগকারী কমিশনে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিলে অনিয়ম করেছে। ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৫৮ টাকা বিল দেখানো হলেও তাঁদের দিতে হয়েছে পাঁচ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৬০ টাকা। কিছু টাকা স্বাস্থ্যবিমা সংস্থা দিলেও বাকি টাকা দিতে হয়েছে।

এদিকে, এই নিয়ে পরপর তিনদিন রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নীচে থাকল। কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯২ জন। মারা গিয়েছেন ১৬ জন। পজিটিভিটি ২.০৮ শতাংশ। যদিও দপ্তরকে উদ্বেগে রেখেছে পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং সহ তিন চারটি জেলাণর পজিটিভিটি। এজন্য কর্তব্যকরণীয় ঠিক করতে বুধবার মেদিনীপুরে গিয়ে জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় বৈঠক করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen