শীত থেকে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা ও বেঙ্গল সাফারির প্রাণীদের রক্ষা করছে হিটার ও ব্লোয়ার
প্রাণীদের খাবারের তালিকাও বদল করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। এহেন অবস্থায় দার্জিলিং চিড়িয়াখানা ও বেঙ্গল সাফারির প্রাণীদের উষ্ণতা দিতে হিটার ও ব্লোয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের খাদ্য তালিকাতেও বদল আনা হয়েছে। কোনও প্রাণী যাতে অসুস্থ না-হয়ে পড়ে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। রাত বাড়তেই তাপমাত্রা অনেকটা নামছে। ঠাণ্ডায় চিড়িয়াখানার প্রাণীদের যাতে কোনও কষ্ট না হয়, সেজন্য রাজ্যের বনদপ্তর ও জু অথরিটি বিশেষ নজর দিচ্ছে। ছ’টি ব্লোয়ার, ছ’টি হিটারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। চটের বস্তার ব্যবস্থা হচ্ছে। কোথাও কোথাও খড়ের গাদার ব্যবস্থাও হয়েছে।
প্রাণীদের খাবারের তালিকাও বদল করা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক এবং শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে প্রাণীদের শীতের থেকে বাঁচতে যাবতীয় আয়োজন করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। সরীসৃপ প্রাণীরা, বিশেষ করে সাপ এ’সময় শীতঘুমে চলে যায়। ঠাণ্ডা হাওয়া যাতে না-লাগে; সেজন্য কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও সিংহদের ক্ষেত্রে ভোরের দিকে ব্লোয়ার ও হিটার জ্বালানো হচ্ছে।
বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে প্রাণীদের রক্ষা করতে সবরকম ব্যবস্থা করেছে। হিটার, ব্লোয়ার রাখা হয়েছে। হরিণ, গণ্ডার-সহ অন্যান্য প্রাণীদের বাদাম দেওয়া হচ্ছে। সিংহ, চিতাবাঘ, বাঘের মতো মাংসাসী প্রাণীদের ক্ষেত্রে শরীর গরম রাখতে খাসি, ছাগলের মাংস দেওয়া হচ্ছে। রাতে নাইট শেল্টারে কর্মীদের বিশেষ করে রাত বারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত পশুদের উপর বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে। প্রত্যেক শেল্টারে তাপমাত্রা যাচাই করা হচ্ছে। শীতের সময় মাংসাসী প্রাণীদের খাবারের পরিমাণ নিয়ম মেনে বৃদ্ধি করা হয়েছে।