তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল এই ক্রিকেটারদের সংসার, দেখে নিন তালিকা
গত ৪ অক্টোবর, দিল্লির পারিবারিক আদালত শিখর ধাওয়ানকে তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় থেকে বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করেছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিবাহ প্রত্যেক মানুষের জীবনের অত্যন্ত আনন্দের একটা মুহূর্ত। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেকেই সাধ্যমতো পরিবার-পরিজনদের সাথে এই আনন্দের মুহূর্তটি ভাগ করে নেন। তবে সব বিবাহিত পুরুষ অথবা নারীর সম্পর্ক সব সময় মধুর হয় না, বেশ কিছু বিয়ে ভেঙেও যায়। যেমন ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের ডিভোর্স। গত ৪ অক্টোবর, দিল্লির পারিবারিক আদালত শিখর ধাওয়ানকে তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় থেকে বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করেছে।

তবে শিখরের মতো অনেক ক্রিকেটারেরই রঙিন বিবাহিতজীবনে মিশে গিয়েছিল বিষাদের সুর। একনজরে দেখেনিন সেই তালিকা
মহম্মদ আজহারউদ্দিন

মহম্মদ আজহারউদ্দিন ১৯৮৭ সালে নওরিনের সাথে সোশ্যাল ম্যারেজ করেছিলেন। বিবাহিত হয়েও বলি তারকা সঙ্গীতা বিজলানির প্রেমে পড়েন আজহারউদ্দিন। সেই সময় এই ক্রিকেটার দুই ছেলের বাবাও ছিলেন। আজহারউদ্দিন ১৯৯৬ সালে সঙ্গীতাকে বিয়ে করার জন্য নওরীনকে তালাক দেন। কিন্তু সঙ্গীতার সঙ্গে বেশিদিন টেকেনি সম্পর্ক। ২০১০ সালে সঙ্গীতা ও আজহারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
দীনেশ কার্তিক

২০০৭ সালে দীনেশ কার্তিক তাঁর ছোটবেলার বন্ধু নিকিতা ভানজারাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের ৫ বছর কাটতে না কাটতেই তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়।
জাভাগল শ্রীনাথ

১৯৯৯ সালে জাভাগল শ্রীনাথ জ্যোৎস্নাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সাংবাদিক মাধবী পাত্রাবলিকে বিয়ে করার জন্য তিনি ২০০৭ সালে তাঁর প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। ২০০৮ সালে মাধবীকে বিয়ে করেন এই ক্রিকেটার
বিনোদ কাম্বলি

১৯৯৮ সালে বিনোদ কাম্বলি প্রথম বিয়ে করেন নোয়েলা লুইসকে। বিবাহিত অবস্থায় তিনি আন্দ্রেয়া হিউইট নামে এক মহিলার প্রেমে পড়েন। তারপর প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। বিবাহবিচ্ছেদের পর বিনোদ আন্দ্রিয়াকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন।
ব্রেট লি

অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার ব্রেট লি ২০০৬ সালে এলিজাবেথ ক্যাম্প নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৮ সালে তাঁদের দুজনের ডিভোর্স হয়ে যায়। এর পরে ২০১৪ সালে, তিনি লানা অ্যান্ডারসনকে বিয়ে করেন।
সনৎ জয়সূর্য

১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার জয়সূর্য সুমধু করুণানায়েক-কে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের মাত্র ১ বছরের মাথায় দুজনেরই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০০০ সালে সান্দ্রাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁদের বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। ২০১২ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের।
মাইকেল ক্লার্ক

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ২০১২ সালে তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী কাইলিকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের ৮ বছর পর তাঁদের দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।