প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক!

আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে উন্নত প্রযুক্তির জন্য ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কারণ এখন অনেক আগে থেকেই ঘূণিঝড়ের নির্দিষ্ট পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

December 17, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যে বজ্রপাতের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। রাজ্যে সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা সবথেকে বেশি। গবেষকরা বলছেন যে, ২০২৩ সালে রাজ্যে বজ্রপাতের বলি হয়েছিল ৫৭ জন। যেখানে অন্যান্য দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০। অর্থাৎ রাজ্যে শুধুমাত্র বজ্রপাতে মৃতদের সংখ্যা বেশি।

আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে উন্নত প্রযুক্তির জন্য ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কারণ এখন অনেক আগে থেকেই ঘূণিঝড়ের নির্দিষ্ট পূর্বাভাস পাওয়া যায়। ফলে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। ১৯৯৯ সালে ওড়িশার সুপার সাইক্লোনে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা ৩ অঙ্ক ছোঁয়নি।

রাজ্যে এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। বর্ষার আগে কালবৈশাখী ঝড়ের জন্য এই মৃত্যুগুলি হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৫ জনের। ২০২৩ সালে রাজ্যে তাপপ্রবাহে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

কিন্তু বজ্রপাতের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।। বজ্রপাত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটে। আবহাওয়া দপ্তরসূত্রে বজ্রগর্ভ মেঘের জেলাভিত্তিক পূর্বাভাস পাওয়া যায়। সম্প্রতি ‘দামিনী’ অ্যাপ চালু করেছে আবহাওয়া দপ্তর। এখানে বজ্রপাতের অঞ্চল ভিত্তিক পূর্বাভাস পাওয়া যায়। তাই বজ্রপাতে মৃত্যু রোধ করতে গেলে জনসচেতনতা বেশি প্রয়োজন।

বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে কিছু কিছু সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন

বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় অথবা গাছের নীচে থাকা উচিত নয়। কারণ বেশিরভাগই বজ্রপাতে মৃত্যু গ্রামাঞ্চলের খোলামেলা জায়গাতেই ঘটে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরেও বজ্রপাতে মৃত্যর ঘটনা ঘটেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen