গরমে হিট পোড়া মাটির তৈরী জলের বোতল!
আচমকা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২৫ থেকে ৩০টি বোতল বিক্রি হচ্ছে একদিনে

আগে একটি দোকান থেকে দিনে তিন থেকে চারটে বিক্রি হত। আচমকা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২৫ থেকে ৩০টি বোতল বিক্রি হচ্ছে একদিনে। প্লাস্টিকের তুলনায় দাম অনেকটা বেশি হলেও মানুষ বাড়তি টাকা খরচ করে মাটির বোতলই কিনছেন। বাগনান জুড়ে এখন রমরমিয়ে চলছে পোড়া মাটির তৈরি জলের বোতল। প্লাস্টিকের তুলনায় ওজনে ভারী, ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তবুও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পথচারীরা মাটির বোতলের দিকেই ঝুঁকছেন। এই এলাকার প্রতি ১০ জনের একজন এই বোতল ব্যবহার করছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এক ব্যবহারকারী বলেন, প্লাস্টিকের বোতলে জল খাওয়া উচিৎ নয়। তাই মাটির বোতল কিনেছি। জল অনেকক্ষণ ঠান্ডাও থাকছে।
গ্রীষ্মের সময় বেশ কয়েকটি অসুখের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় প্রতিবছরই। বিশেষ করে পেটের রোগ এইসময় অনেকটাই বাড়ে। এই ধরণের রোগ বালাই থেকে বাঁচতে রাস্তাঘাটের জল খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি বাগনানের অধিকাংশ চিকিৎসক প্লাস্টিকের বোতল এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন। সেই উপদেশ মেনে বহু মানুষ মাটির বোতলের দিকে ঝুঁকেছেন। এর পাশাপাশি যাঁদের ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো অসুখের ধাত রয়েছে তাঁদের ফ্রিজের জল পান না করতে উপদেশ দেন চিকিৎসকরা। সেই পরামর্শ মেনে বাগনানের বহু মানুষ মাটির কুঁজো, কলসি, জালা কিনছেন বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
এই পাত্রগুলির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসি ফুটেছে মৃৎশিল্পী ও বিক্রেতাদের মুখে। বাগনানের আন্টিলার মাটির জিনিসের বিক্রেতা সৌমেন পাল জানান, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটির পাত্রের চাহিদা বাড়ছে। ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে এই বোতল বিক্রি হচ্ছে। জালা এবং কুঁজোর চাহিদাও বাড়ছে। তিনি মনে করছেন, কিছুদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ প্লাস্টিক বাদ দিয়ে মাটির পাত্রকেই বেছে নেবেন।