Hilsa: দুর্গাপুজোর আগেই বাজারে বঙ্গোপসাগরের ৩০০ টন ইলিশ
বর্তমানে, এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের স্থানীয় তাজা ইলিশের দাম প্রতি কিলোগ্রামে ১,৮০০ থেকে ২,২০০ টাকা, যা পুজোর সময় আরও বাড়তে পারে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৫৩: বঙ্গোপসাগর থেকে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের ধরা ৩০০ টনেরও বেশি ইলিশ (hilsa) কলকাতার বিভিন্ন বাজারে পৌঁছনোর কথা রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজোর (১৭ সেপ্টেম্বর) পরেই, অর্থাৎ ঠিক দুর্গাপুজোর চূড়ান্ত চাহিদার সময়ে। ৮৫০ গ্রামের বেশি ওজনের এই তাজা ইলিশগুলিকে বাজারে আনার জন্য ঠিক করে কোল্ড স্টোরেজে (cold storage) রাখা হয়েছে, যাতে উৎসবের মরশুমে চাহিদা ও দাম বাড়ার সময় এগুলি পাওয়া যায়।
বর্তমানে, এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের স্থানীয় তাজা ইলিশের দাম প্রতি কিলোগ্রামে ১,৮০০ থেকে ২,২০০ টাকা, যা পুজোর সময় আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে, বর্মার (Myanmar) ইলিশ এখনই পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কিলো ১,৫০০ টাকায়, যা দুর্গাপুজোর সময় বেড়ে ১,৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বাজারে এখন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে আরেক প্রকারের স্থানীয় ইলিশ, যার ওজন ৫০০ গ্রাম বা তার কম এবং দাম প্রতি কিলোগ্রামে প্রায় ৫৫০-৬০০ টাকা।
গত বছর, বাংলদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও, দুর্গাপুজোর আগে বাংলাদেশ সরকার ২,৪২০ টন পর্যন্ত মাছ রপ্তানি করার অনুমোদন দিয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ৫৭৭ টন ভারতে পৌঁছেছিল। এবছরও বাংলাদেশের মাছ রপ্তানিকারকদের তরফ থেকে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে, কলকাতার মাছ ব্যবসায়ীরা এবার সন্দিহান। তাঁদের মতে, বিশেষত ভারত পেট্রাপোল সীমান্ত (Petrapole border) দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে বা কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata airport) দিয়ে তাঁদের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরে, এবছর ইলিশ সীমান্ত পেরোতে পারবে না বলেই তাঁদের ধারণা। তাই ব্যবসায়ীরা এখন ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) থেকে ধরা মাছের ওপরেই ভরসা রাখছেন, যা উৎসবের সময় মৎস্য-রসিকদের রসনা তৃপ্ত করবে।