দিল্লিতে ভেঙে পড়ল ঐতিহাসিক হুমায়ুনের সমাধির গম্বুজ, মৃত অন্তত পাঁচ

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে তখন অনেক পর্যটক ছিলেন, কারণ দিনটি ছুটির ছিল।

August 15, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫৫: দক্ষিণ দিল্লির পূর্ব নিজামুদ্দিনে হুমায়ুনের সমাধিক্ষেত্রের একাংশ ভেঙে পড়েছে।শুক্রবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হুমায়ুন টুম্ব মোগল স্থাপত্যশৈলীর প্রথম উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। দরগার ছাদ ও সংলগ্ন প্রাচীরের একটি অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে। এখনও পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

দিল্লির দমকল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে হুমায়ুনের সমাধিক্ষেত্রে একটি গম্বুজের একাংশ ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নীচে অন্তত আট জন চাপা পড়েছেন বলে প্রথমে আশঙ্কা করা হয়। পরে উদ্ধারকারী দল পাঁচটি দেহ উদ্ধার করে।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে তখন অনেক পর্যটক ছিলেন, কারণ দিনটি ছুটির ছিল। দমকলের পাঁচটি বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। এখনও কয়েক জন ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউনেস্কোর ‘হেরিটেজ স্থাপত্যে’র তালিকায় স্থান পেয়েছে দ্বিতীয় মোগল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি। ১৫২৬ থেকে ১৮৫৮ সালের মোগল শাসনকালে ভারতজুড়ে নির্মিত বহু স্থাপত্যে এই সমাধির প্রভাব দেখা যায়।

১৫২৬ সালে পানিপথের যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করে দিল্লি দখল করেছিলেন বাবর। তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুত্র হুমায়ুন শের শাহ সুরির কাছে যুদ্ধে হেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। শের শাহের মৃত্যুর পর তিনি নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে মোগল সিংহাসন পুনর্দখল করেন।

হুমায়ুন দিল্লির পুরানা কিলায় শের মণ্ডল এবং আগরার কাচপুরা মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৫৩৩ সালে তাঁর নির্মিত দিনা-পানাহ দুর্গের কাছেই রয়েছে সমাধিসৌধটি। ১৫৫৬ সালে হুমায়ুনের মৃত্যু হলে, তাঁর স্ত্রী হামিদা বানু বেগম ১৫৬২ সালে বুখারার স্থপতি মির্জা গিয়াসকে দিয়ে বেলেপাথরের ওই সমাধি নির্মাণ করান। এটি মোগল ইতিহাসের প্রথম উদ্যান-সমাধি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen