কালী পজোয় আজও জেগে ওঠে দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের শ্মশান

১০৭ বছর আগে এই শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলেই টালির ছাউনির নীচে কালী পুজো শুরু করেছিলেন তান্ত্রিক মণিলাল চক্রবর্তী। ১০৮টি নরমুণ্ড দিয়ে চলত তন্ত্রমতে দেবীর উপাসনা।

November 10, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
কালী পজোয় আজও জেগে ওঠে দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের শ্মশান

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আদিগঙ্গার পাড়ে কয়েকশো বছরের প্রাচীন মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর শ্মশান। এই শ্মশানেই আগে ভিড় জমাতেন তান্ত্রিক ও সাধকরা। শব সাধনায় বসতেন অনেকেই। এখনও শ্মশানে ঢুকলে গা ছমছমে পরিবেশ। স্থানীয়দের বিশ্বাস, তান্ত্রিকদের সাধনার জোরে আজও রাতের অন্ধকারে জেগে ওঠে শ্মশান। ঘোরাফেরা করে অপঘাতে মৃতদের আত্মা। ১০৭ বছর আগে এই শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলেই টালির ছাউনির নীচে কালী পুজো শুরু করেছিলেন তান্ত্রিক মণিলাল চক্রবর্তী। ১০৮টি নরমুণ্ড দিয়ে চলত তন্ত্রমতে দেবীর উপাসনা।

সেই পুরনো রীতি মেনে তন্ত্রমতে গা ছমছম পরিবেশে ১০৮টি নরমুণ্ড সহযোগে পুজো হয় মা কালীর। রাতে শিয়ালভোগের পাশাপাশি মদ, মাংস, ছোলা নিবেদন করা হয়। মায়ের চোখ আর জিভ সোনা দিয়ে তৈরি। হাতে থাকে রুপোর খাঁড়া। মাকে পুজোর দিন পরানো হয় সোনার গয়না।

দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের এই মন্দিরে পুজো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় জমান বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই মন্দির রং করে সাজানো হয়েছে। দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের চক্রবর্তী পরিবার বংশ পরম্পরায় এই পুজো চালিয়ে আসছে। এই পরিবারের বাসিন্দা আশি ছুঁইছুঁই শ্যামল চক্রবর্তী এই পুজোর পুরোহিত। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর ভাই অর্ণব চক্রবর্তী। শ্যামলবাবু বলেন, ১০৭ বছর আগে বাবা মণিলাল চক্রবর্তী মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। মা বলেন, বছরে একবার পুজো করলে হবে না। নিত্যপুজো করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই গঙ্গার পাড়ে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন বাবা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen