কলকাতার বিভিন্ন জায়গার নামকরণের ইতিহাস

কলকাতার পরতে পরতে মিশে রয়েছে ইতিহাস। সবকিছুর পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে কোন না কোন ইতিহাস।

January 20, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কলকাতার পরতে পরতে মিশে রয়েছে ইতিহাস। সবকিছুর পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে কোন না কোন ইতিহাস। জায়গা থেকে রাস্তার নাম সবকিছুরই রয়েছে আলাদা আলাদা গল্প। কলকাতার অনেক জায়গার নামকরণের পিছনেই লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস।

বাগবাজার। ছবি সৌজন্যেঃ Flickr

বাগবাজার

গঙ্গার বাঁকে বাজার বসত বলে নাম দেওয়া হয়েছিল বাগবাজার।

শ্যামবাজার। ছবি সৌজন্যেঃ Wikimedia

শ্যামবাজার

শ্যামবাজারে আগে একটি বিখ্যাত বাজার ছিল। জন জেফানিয়া হলওয়েল এই বাজারটিকে চার্লস বাজার নামে অভিহিত করেন। শেঠ ও বসাক পরিবারগুলি ছিল সুতানুটির আদি বাসিন্দা। এক বিশিষ্ট বাঙালী ধনী ব্যবসায়ী শোভারাম বসাক তাঁর গৃহদেবতা শ্যামরায়ের (কৃষ্ণ) নামানুসারে এই অঞ্চলের বর্তমান নামকরণটি করেন।

হাতিবাগান। ছবি সৌজন্যেঃ Wikimedia

হাতিবাগান

সিরাজুদ্দৌলা কলকাতায় আক্রমণ করার সময় এখানে হাতির ছাওনি পড়েছিল বলে এই জায়গার নাম হাতিবাগান।

আদি চিত্তেশ্বরী’ দুর্গামন্দির। ছবি সৌজন্যেঃ WikiMedia

চিৎপুর

চিৎপুর অঞ্চলে অবস্থিত ‘আদি চিত্তেশ্বরী’ দুর্গামন্দির। ওই অঞ্চলে ছিল চিতু ডাকাতের আধিপত্য। কথিত আছে, ভাগীরথী-হুগলী নদীতে ভেসে আসা এক প্রকান্ড নিম গাছের গুঁড়ি দিয়ে চিতু ডাকাত এই জয়চন্ডী চিত্তেশ্বরী দুর্গা মূর্তি তৈরী করেন। পরবর্তীকালে মনোহর ঘোষ নামে এক ব্যক্তি চিত্তেশ্বরী দুর্গার মন্দির তৈরি করে দেন। এই চিত্তেশ্বরী দুর্গার নামানুসারেই এঅঞ্চলের নাম চিৎপুর।

কুমোরটুলি

কুমোরটুলি

শোভাবাজার রাজ বাড়ির প্রতিমা তৈরীর জন্যে কৃষ্ণনগর থেকে কিছু কুমোরকে আনা হত। রাজবাড়ির সন্নিকটে এই জায়গাতেই তারা থাকত বলে নাম দেওয়া হয়েছে কুমোরটুলি।

ঠনঠনিয়া। ছবি সৌজন্যেঃ Wikipedia

ঠনঠনিয়া

শোনা যায় এখানে একটি বাড়িতে লোহার কাজ হত। সারাদিন তার ঠন ঠন শব্দ হত। এই শব্দ থেকেই এই জায়গার নাম দেওয়া ঠনঠনিয়া ।

উল্টো ডাঙ্গা। ছবি সৌজন্যেঃ Wikipedia

উল্টোডাঙ্গা

খালের পাশে এখানে নৌকো বা ডিঙ্গিতে উল্টো করে আলকাতরা লাগানো হত। ডিঙ্গি উল্টে রাখার এই রেওয়াজের জন্যে এর নাম দেওয়া হয় উল্টো ডাঙ্গা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen