তারকেশ্বরের ঐতিহ্যবাহী সন্নাস মেলা

আনুমানিক ১৪২৯ সালে ১লা চৈত্র শুরু হয়েছিল এই ঐতিহ্যবাহী সন্ন্যাসী মেলা বা গাজন মেলা। প্রতিবছর ১লা চৈত্র থেকে সংক্রান্তি পর্যন্ত প্রায় এক মাস চলে সুপ্রাচীন এই সন্ন্যাসী মেলা।

March 19, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উৎসব প্রিয় বাঙালির বাংলা বছরের শেষ মাসের প্রিয় পার্বন তারকেশ্বরের গাজন মেলা বা সন্নাস মেলা। মূলত শিব পূজাকে কেন্দ্র করে অগণিত ভক্তদের সমাগম হয় এই মেলাতে। একমাস ব্যাপী চলে এই মেলা।

পুরান মতে, দক্ষযজ্ঞে সতীর দেহত্যাগের পরে নারায়ণের চক্রে একান্ন খণ্ডে খণ্ডিত হয়েছিল তাঁর দেহ। সতীকে হারিয়ে কঠিন তপস্যায় মগ্ন হয়েছিলেন ভোলা মহেশ্বর। সেই সময় তারকাসুরের তাণ্ডবে ব্রহ্মাণ্ড বিচলিত হয়ে পড়েছিল। ব্রহ্মা এই সমস্যার সমাধানে বলেছিলেন, তারকাসুরকে হত্যা করতে পারবেন একমাত্র শিবের পুত্র। এদিকে, সতী ছাড়া শিবপুত্র কীভাবে আসবে! শিবের না আবার বিয়ে হলে পুত্র জন্মাবে না, আর তারকাসুরকে হত্যাও করা যাবে না। যদিও শিবকে বিবাহ করার জন্য তপস্যায় মগ্ন ছিলেন পার্বতী, কিন্তু শিব তো নিজেই তপস্যা রত। এই অবস্থায় ব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করতে ভক্তরাও সন্ন্যাস নিতে শুরু করেন। ভক্তদের সন্ন্যাস নেওয়ায় তপস্যা ভঙ্গ হয় ভোলা মহেশ্বরের। চৈত্রের শেষে শিব-পার্বতীর বিবাহ হয়। এখান থেকেই সন্ন্যাস নেওয়ার প্রচলন শুরু।

আনুমানিক ১৪২৯ সালে ১লা চৈত্র শুরু হয়েছিল এই ঐতিহ্যবাহী সন্ন্যাসী মেলা বা গাজন মেলা। প্রতিবছর ১লা চৈত্র থেকে সংক্রান্তি পর্যন্ত প্রায় এক মাস চলে সুপ্রাচীন এই সন্ন্যাসী মেলা। শেষ হয় ১লা বৈশাখে। শিবভক্তরা তারকেশ্বর মন্দিরের দুধপুকুরে স্নান করে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। মেলা উপলক্ষে বহু মানুষের সমাগম হয় তারকেশ্বরে। জানা গেছে, শৈবতীর্থ তারকেশ্বরের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই মেলায় ভক্তরা প্রতিদিন সকালে মন্দিরে শিবের ভোগের পর ফল এবং রাতে হব্যিসি খেয়ে সন্ন্যাস ব্রত গ্রহন করে কৃচ্ছ সাধনের জীবন যাপন করেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen