অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি কতটা কার্যকর?

চিকিৎসক মহলের মতে, অ্যাডিনো ভাইরাস একটি ‘রেসপিরেটরি ভাইরাস’ যা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি অত্যন্ত সংক্রামক।

March 11, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে দেশ। ভারতে এই ভাইরাসের প্রকোপে রোজই লাফিয়ে বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা । এমনকী বয়স্করাও রেহাই পাচ্ছেন না। গত দু’মাস ধরে করোনার মতোই অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে।

চিকিৎসক মহলের মতে, অ্যাডিনো ভাইরাস একটি ‘রেসপিরেটরি ভাইরাস’ যা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি অত্যন্ত সংক্রামক। সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির সময় বেরনো ড্রপলেটের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাস আক্রান্ত কোনও ব্যাক্তির স্পর্শ করা কোনও বস্তুকে সুস্থ ব্যক্তি স্পর্শ করলেও ঐ ব্যক্তির অ্যাডিনো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এই ভাইরাস আবার সংক্রামিতের মলের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণের নানা লক্ষণ আছে। এটি যেহেতু শ্বাসনালীগুলিকে সংক্রামিত করে তাই শ্বাস যন্ত্রের নানা সমস্যা দেখা যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গলা ব্যথা, জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি-কাশি, মেনিনজাইটিস, ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ দেখা দেয়। অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ সাধারণত ৩-৫ দিন স্থায়ী হয়। আবার গুরুতর সংক্রমণ কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। কিছু অ্যাডিনো ভাইরাস আছে যার ফলে ত্বকের ফুসকুড়ি, মূত্রাশয়ে সংক্রমণ, কনজাংটিভাইটিস, ডায়ারিয়া ইত্যাদিও হতে পারে।

অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক ও পরবর্তী পর্যায়ে যে হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেগুলি মূলত রাসটক্স, ফসফরাস, অসিমাম, জাস্টেশিয়া অ্যাডাটোঢা, অ্যাকোনাইট নাপেলাস, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, আর্সেনিক অ্যালবাম, হিপার সালফার,, জেলসেমিয়াম, ইত্যাদি। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, গলার স্বর বসে যাওয়া, বুকে ঘড় ঘড় শব্দ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে অ্যান্টিম টার্ট, নেট্রম সালফ, কক্কাস, পালসেটিলা, স্পঞ্জিয়া, ইপিকাক, অ্যান্টিম আর্স, অ্যারালিয়া রেসিমোসা, ক্যাক্টি ইত্যাদি। আবার যে সমস্ত শিশুদের ঘন ঘন সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে ক্যালকেরিয়া ফস, নেট্রাস মিউর ব্যাসেলিনাম, ক্যালকেরিয়া কার্ব, টিউবার কিউলিনাম ইত্যাদি ওষুধগুলি ফলপ্রদ।

যেহেতু উপরোক্ত ওষুধগুলির কার্যকারীতা সংক্রমিত ব্যক্তির উপসর্গ বিশেষে আলাদা, তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধগুলো খাওয়া উচিত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen