কোভিডের চিকিৎসায় কতটা কাজে আসবে মাইকোব্যাকটেরিয়াম?

May 26, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

সারা পৃথিবী যখন কোভিডের ওষুধ ও প্রতিষেধক খুঁজে চলেছে, মাইকোব্যাকটেরিয়াম-ডব্লিউ নামের ওষুধ সেখানে আর একটু আশার আলো দেখাল। মাইকোব্যাকটেরিয়াম-ডব্লিউ মূলত কুষ্ঠের ওষুধ৷ প্রথমে কুষ্ঠের জন্য ব্যবহার হলেও পরবর্তীতে ব্যবহার হতে লাগল টিবি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে৷ তার পর এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় ক্যানসারে৷ ব্লাডার ক্যানসারে মৃতপ্রায় রোগীরা প্রাণ ফিরে পেলেন এই ওষুধের ছোঁয়ায়৷ এ বার এল কোভিডের পালা৷

পিজিআই চণ্ডীগড়ের চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা চার জন গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীর উপর পর পর তিন দিন ০.৩ মিলি মাত্রায় এই ওষুধ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। দেখা যায়, রক্তে যে সংক্রমণের বিষ মারাত্মক ভাবে ছড়িয়েছিল, তার মাত্রা কমতে শুরু করেছে৷ শরীরের আভ্যন্তরীন প্রত্যঙ্গদের অকেজো হওয়ার হারও কমেছে কিছুটা৷ ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়াও হয়নি৷ 

ফলে কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাসট্রিয়াল রিসার্চের তত্ত্বাবধানে ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’-র অনুমতিক্রমে শুরু হয়ে গেল মাইকোব্যাকটেরিয়াম-ডব্লিউ নিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি পর্ব৷ তাতে সীলমোহর পড়ল এফডিএ এবং আইসিএমআর-এর৷ 

আপাতত ঠিক করা হয়েছে, মোট তিনটি পর্যায়ে এই ট্রায়াল হবে। চলবে তিনটি আলাদা সেন্টারে৷ পিজিআই চণ্ডীগড়ে, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স, ভোপাল ও দিল্লিতে৷

প্রথম পর্যায়ে ট্রায়াল হবে আইসিইউ-তে ভর্তি ৫০ জন জটিল কোভিড রোগীর উপর৷ দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যোগ দেওয়ার জন্য ৫০০ জন এমন মানুষকে বেছে নেওয়া হবে যাঁরা কোভিড রোগীর ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে রয়েছেন, অথচ এখনও কোনও উপসর্গ হয়নি৷ 

তৃতীয় পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অথচ রোগ তত জটিল নয়, এমন রোগীদের দিয়ে দেখা হবে কত তাড়াতাড়ি তাঁরা সেরে উঠলেন, কত জনের অবস্থা খারাপ হল, কত জনের আইসিইউ-এর প্রয়োজন হল কত জনের হল না ইত্যাদি খুঁটিনাটি৷

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen