বেশি পর্ন দেখলে সুখকর হয়না যৌন জীবন, জানতেন?

দীর্ঘকালীন অভ্যাসের কোনও না কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই, পর্নোগ্রাফি দেখাটাও তার ব্যতিক্রম নয়

July 22, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আর পাঁচটা ছায়াছবির মতোই বিষয়টা দেখা উচিত কি না, এটাও তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বটেই, এর সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে বহু মানুষের রোজগারের বিষয়- পর্নোগ্রাফি নিয়ে এই সব বিতর্ক আপাতত একপাশে সরিয়ে রাখা যেতে পারে! কেন না, এই প্রতিবেদন গুরুত্ব দিচ্ছে অভ্যাসজনিত বিষয়ে। দীর্ঘকালীন অভ্যাসের কোনও না কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই, পর্নোগ্রাফি দেখাটাও তার ব্যতিক্রম নয়। অনেকেই যৌন জীবনকে উত্তেজনাময় করে তোলার জন্য পর্নোগ্রাফি (Pornography) দেখেন, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আদতে সুখকর নয়, বরং যৌনজীবন যন্ত্রণাদায়ক করে তোলে পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস! কী ভাবে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে পর্নোগ্রাফি, তা জেনে নেওয়া যাক এক এক করে!

১. লিঙ্গশৈথিল্য

এই ব্যাপারটা অনেকটাই পাভলভ রিফ্লেক্সের মতো। পর্নোগ্রাফি দেখলে যৌন উত্তেজনা জাগে। কিন্তু নিয়মিত দেখার অভ্যাস শরীরে একটা মাত্রা ঠিক করে দেয়। ফলে, তখন আর পর্নোগ্রাফি না দেখলে যৌন উত্তেজনা জাগে না। এর থেকে শারীরিক মিলনের সময়ে লিঙ্গশৈথিল্যের সমস্যায় ভোগেন বহু পুরুষ!

২. সামাজিক বিচ্ছিন্নতা

নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস সামাজিক যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলে জানাচ্ছেন মনোবিদরা। কেন না, এর আনন্দ লোকসমক্ষে উপভোগ করা যায় না।ফলে একটা সময়ে সবার থেকে আড়াল হয়ে কেবলই পর্নোগ্রাফি দেখতে ইচ্ছা করে ইউজারের এবং তা তাকে সমাজ থেকে আলাদা করে দেয়।

৩. মানসিক অবসাদ

আমাদের আনন্দের মূলে রয়েছে ডোপামিন (Dopamine) হরমোনের ক্ষরণ। পর্নোগ্রাফি দেখলে নিঃসন্দেহেই আনন্দ পাওয়া যায়। কিন্তু নিয়মিত অভ্যাসে ডোপামিনের ক্ষরণ পর্নোগ্রাফি দেখার উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ফলে বাকি সময়টা গভীর মানসিক অবসাদে চলে যান ইউজার।

৪. যৌন অসুখ

পর্নোগ্রাফি মনের গভীরে বহুগামিতার প্রশ্রয় জোগায়। ফলে যাঁদের সুবিধা আছে, তাঁরা খুব সহজেই বহু যৌনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর থেকে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ বা যৌন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

৫. সামাজিক অপরাধ

সারা বিশ্বেই পর্নোগ্রাফি নিয়ে এই অভিযোগ রয়েছে- তা নীতিহীন যৌনতা এবং ধর্ষণকে প্রশ্রয় দেয়। ইতিপূর্বে এই অভিযোগে বহু কনটেন্ট নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল বেশ কিছু পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট। নিয়মিত দেখার অভ্যাস এই সব সামাজিক অপরাধে প্ররোচণা দেয়, মুছে যায় নৈতিকতার সীমারেখা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen