আজও সঠিক সময় দিয়ে চলেছে হাওড়ার বড় ঘড়ি

December 31, 2019 | < 1 min read

Authored By:

Drishti Bhongi Drishti Bhongi
Published by: Drishti Bhongi

১৯২৬ সাল থেকে হাওড়া স্টেশনে এটিই সবচেয়ে জনপ্রিয়, পরিচিত ও খ্যাতনামা ল্যান্ডমার্ক। প্রাক-মোবাইল যুগে যাত্রীরা পরিচিতদের খুঁজে নিতেন এই বড় ঘড়ির নীচে দেখা করে। এমনকি এখনও জিপিএসের যুগেও যাত্রীদের কাছে এর অবদান অনস্বীকার্য। শুধু হাওড়ার ‘বড় ঘড়ি’ বললেই মিটিং লোকেশন চিনে নেন তাঁরা। এককথায় অলিখিত অ্যাসেম্বলি পয়েন্ট।


১৯২৬ সালে এই ঘড়িটি হাওড়া স্টেশনের পুরনো কমপ্লেক্সের শতাব্দী প্রাচীন ভবনে বসানো হয়। পিঠোপিঠি অবস্থিত এই ঘড়িটির একটি মুখ আছে ১ থেকে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে এবং অন্যটি ৯ থেকে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মমুখী। লোহার মজবুত ফ্রেমের ওপর স্থাপিত এবং স্টেশন ম্যানেজারের অফিসের পাশের দেওয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত এই ঘড়ি ‘জেন্টস’ নির্মিত। লন্ডনের বিখ্যাত বিগ বেন ঘড়িও একই সংস্থারই তৈরী।
আগে বিদ্যুৎ চালিত যান্ত্রিক হাওড়ার এই বড় ঘড়িটিতে একটি দূরনিয়ন্ত্রক পালসার যন্ত্রের মাধ্যমে দম দেওয়া হতো এবং সময়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা হতো। পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ পরিবাহী তারে সমস্যা তৈরী হয়। এখন আর এই ঘড়িতে চাবি ঘুরিয়ে দম দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তার ব্যবস্থা করা আছে ঘড়ির ভেতরেই।


জানা যায়, এই ঘড়ির ডায়ালের ব্যাস ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি। ছোট কাঁটা অর্থাৎ ঘন্টার কাঁটা দেড় ফুট বা ১৮ ইঞ্চি লম্বা। আর বড় কাঁটা বা মিনিটের কাঁটার দৈর্ঘ্য দু ফুট অর্থাৎ ২৪ ইঞ্চি। ১৯৭৫ সালে ঘড়িটি মেকানিক্যাল থেকে ইলেকট্রো মেকানিক্যালে রূপান্তরিত করা হয়। তার পরে রিচার্জেবল ব্যাটারির সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ঘড়িটি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ফলো করুন :

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen